মদ্যপ চালক ধরতে অবশেষে তত্পর কলকাতা পুলিশ

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয় এই শহরে। কিন্তু, তাদের পাকড়াও করতে কলকাতা পুলিশের তত্পরতা এর আগে তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে, সম্প্রতি কিছুটা হলেও তাদের উদ্যোগ নজরে এসেছে। গত এপ্রিল মাস থেকে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ২১ জন। যার মধ্যে পাঁচ জনের জেল এবং তিন জনের জরিমানা হয়েছে। ৬ জনের এখনও বিচার চলছে। পুলিশের একাংশের মতে, মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর ঘটনাকে প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষ খুব একটা গুরুত্ব দিতেন না। এমনকী, পুলিশও কোনও কালে তেমন নজরদারি চালাত না।

Advertisement

মধুরিমা দত্ত

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৫ ১৮:৪৪
Share:

শহরের রাস্তায় চলছে শ্বাসপরীক্ষা। ছবি: উৎপল সরকার।

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয় এই শহরে।

Advertisement

কিন্তু, তাদের পাকড়াও করতে কলকাতা পুলিশের তত্পরতা এর আগে তেমন একটা চোখে পড়েনি। তবে, সম্প্রতি কিছুটা হলেও তাদের উদ্যোগ নজরে এসেছে।

গত এপ্রিল মাস থেকে মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন মোট ২১ জন। যার মধ্যে পাঁচ জনের জেল এবং তিন জনের জরিমানা হয়েছে। ৬ জনের এখনও বিচার চলছে। পুলিশের একাংশের মতে, মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর ঘটনাকে প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষ খুব একটা গুরুত্ব দিতেন না। এমনকী, পুলিশও কোনও কালে তেমন নজরদারি চালাত না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা ২০০ টাকার নামমাত্র জরিমানায় ছাড়া পেয়ে যেতেন। সাধারণ মানুষ তো বটেই, আইনরক্ষকদের চোখেও মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনা অন্যান্য অপরাধের তুলনায় সিকি ভাগ গুরুত্বও পেত না।

Advertisement

অবস্থার পরিবর্তন আনতে, কলকাতা পুলিশ বার বার আইনজীবীদের পরামর্শ নিয়েছে। সরকারি আইনজীবীদের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনায় প্রশস্ত হয়েছে সচেতনতা বৃদ্ধির বিভিন্ন পথ। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল কমিশনার সৌমেন মিত্র বলেন, ‘‘মদ্যপ গাড়িচালকদের ধরতে আমরা এখন বদ্ধপরিকর।’’ তিনি জানান, মোটর ভেহিকল আইনের ১৮৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী, প্রতি ১১০ মিলিলিটার রক্তে ৩০ মিলিগ্রাম অ্যালকোহলের উপস্থিতি অভিযুক্তকে দোষী প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। শ্বাসপরীক্ষা যন্ত্রতেই তা ধরা পড়ে বলে দাবি করেন তিনি। তবে আরও নিশ্চিত প্রমাণের জন্য পুলিশ অভিযুক্তের রক্ত পরীক্ষাও করিয়ে থাকে।

এই পরীক্ষায় ফলের উপর ভিত্তি করেই প্রথম বার ছয় মাস পর্যন্ত জেল অথবা দু’হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা দু’টিই হতে পারে। প্রথম বার দোষী প্রমাণিত হওয়ার তিন বছরের মধ্যে ফের এমন ঘটনা ঘটলে দোষীর ২ বছর পর্যন্ত জেল এবং তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা দু’টিই হতে পারে।

সৌমেনবাবুর দাবি, ট্রাফিক গার্ডগুলিতে শ্বাসপরীক্ষা যন্ত্রগুলি কী অবস্থায় আছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নজরদারি ব্যবস্থা সাজা হচ্ছে নতুন করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement