তেতলা থেকে পড়ে প্রলয় বিশ্বাস (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় পূর্ব পুঁটিয়ারি এলাকায়। প্রতীকী ছবি।
গায়ে কেন ধাক্কা লেগেছে, সেই রাগে এক বন্ধু ধাক্কা মারে আর এক বন্ধুকে! যার জেরেই তেতলা থেকে পড়ে প্রলয় বিশ্বাস (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় পূর্ব পুঁটিয়ারি এলাকায়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে এমনই তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রলয় পড়ে যেতেই তেতলা থেকে ঝাঁপ দেন অমিত নায়েক নামে বছর আঠারোর অভিযুক্ত বন্ধুও। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে। মৃত এবং অভিযুক্তের কয়েক জন বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রলয়ের বাড়িতে বাবা-মা এবং দাদা-বৌদি রয়েছেন। বাবা প্রদীপ বিশ্বাসের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। দাদা প্রতীক স্টুডিয়োয় কাজ করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, প্রলয় পুঁটিয়ারির একটি বাজারে খাতা লেখার কাজ করতেন। অন্য দিকে, অমিত গাড়ি চালানোর কাজে যুক্ত। দু’জনের বন্ধুত্ব বেশ কিছু দিনের। পুলিশ জেনেছে, প্রলয় এবং অমিতের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে খাবার সময়ে গোলমাল হয়েছিল। বাকি বন্ধুরা সেই ঝামেলা মিটিয়ে দেন।
সন্ধ্যায় পূর্ব পুঁটিয়ারির দক্ষিণপাড়ায় সবাই জড়ো হন। সেখানকার একটি ক্লাব লাগোয়া নির্মীয়মাণ চারতলা বাড়িতে বসে মদের আসর। মইয়ের সাহায্যে সেখানে ঢোকেন অমিতেরা। তেতলায় মদ্যপানের আসরে আনানো হয় বিরিয়ানি। পুলিশ জেনেছে, প্রলয় মই তোলার সময়ে অমিতের গায়ে ধাক্কা লাগে। শুরু হয় ঝামেলা। বন্ধুরা পুলিশকে জানান, ঝামেলা চলাকালীন অমিত ধাক্কা মারেন প্রলয়কে। ভারসাম্য রাখতে না পেরে তেতলা থেকে পড়ে যান প্রলয়। তখন অমিতও ঝাঁপ দেন। এক পুলিশ অফিসার জানান, অমিতই অন্যদের সাহায্যে প্রলয়কে হাসপাতালে নিয়ে যান।