সার্থক দাস। —ফাইল চিত্র।
কয়েক বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে বসবাস করলেও বিয়ে করেননি। বিয়ের বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মতান্তর চলছিল। দক্ষিণ দমদমে সার্থক দাস নামে এক যুবককে খুনের ঘটনায় ধৃত, তাঁর সঙ্গিনী সংহিতা পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনটাই জানা গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তবে তদন্তকারীদের ধারণা, ঘটনার নেপথ্যে আরও কারণ থাকতে পারে।
বুধবার ভোরে দক্ষিণ দমদমের মধুগড় বাজার এলাকায় একটি আবাসনের পাঁচতলা থেকে সার্থকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সংহিতাকে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত সামগ্রী। এ দিন ওই আবাসনে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল।
তদন্তকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে সংহিতা জানিয়েছেন, অশান্তি থেকে উত্তেজনার বশে তিনি সার্থককে আঘাত করেন। যদিও তাঁর এই বয়ান যাচাই করছে পুলিশ। কারণ, ঘটনার পরে সংহিতাই ১০০ ডায়ালে ফোন করে জানিয়েছিলেন, তাঁর ঘরে এক জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই পুলিশের সাহায্য চাইছেন তিনি।
পুলিশ জেনেছে, সার্থক ও সংহিতা কয়েক লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধ করতে তাঁদের সমস্যা হচ্ছিল। অশান্তির মূলে সেটিও একটি কারণ বলে অনুমান তদন্তকারীদের। উপরন্তু, দু’জনের সম্পর্কের টানাপড়েনও চলছিল। পুলিশের অনুমান, এই সব কারণই খুনের মূলে কাজ করে থাকতে পারে।