এ বার গোয়েন্দাদের নজর ঘুরছে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার মহিলা মাদক পাচার চক্রের খোঁজে। প্রতীকী ছবি।
এ বার গোয়েন্দাদের নজর ঘুরছে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার মহিলা মাদক পাচার চক্রের খোঁজে। জানা গিয়েছে, ওই চক্রের মাথা এক মহিলা। যাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করেছেন গোয়েন্দারা। এই চক্রে আরও কে বা কারা জড়িত, কারা কারা তাঁদের থেকে মাদক নিতেন— সে সব তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি সল্টলেকের নাওভাঙার দম্পতির ফ্ল্যাট এবং গাড়ি থেকে মাদকউদ্ধারের ঘটনার তদন্তে নেমে এইমহিলা মাদক পাচার চক্রের সন্ধান পেয়েছেন রাজ্য পুলিশের এসটিএফের তদন্তকারীরা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় সক্রিয় মহিলা মাদক পাচার চক্রটি মণিপুর থেকে রসদ নিয়ে এসে হেরোইন তৈরি করে্। যা পৌঁছে দেয় সল্টলেক, কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায়। সম্প্রতি যে দম্পতিকে গ্রেফতার করে কয়েক কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার করেছে এসটিএফ, তাও এসেছিল মহিলা মাদক পাচার চক্রের ডেরা থেকেই।
এসটিএফ সূত্রের খবর, মণিপুর থেকে সড়ক পথে বিলাসবহুল গাড়িতে করে হেরোইন তৈরির কাঁচামাল পোস্তোর আঠা, মরফিন ইত্যাদি আনা হয়। মুর্শিদাবাদের লালগোলা, রঘুনাথগঞ্জ এবং নদিয়ার পলাশিপাড়া, নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জ থানা এলাকায় ওইসব কাঁচামাল দিয়ে দেশীয় কায়দায় মাদক হচ্ছে। হেরোইনের পুরিয়া তৈরি করে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। কখনও আবার পুরো হেরোইন তৈরি হয়েও আসে।
উল্লেখ্যে, গত ডিসেম্বরেই মুর্শিদাবাদ থেকে এক মহিলা মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। রঘুনাথগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল মাদকও। সম্প্রতি মাদক-সহ ধরা পড়া দম্পতিকে জেরা করে গোয়েন্দারা জেনেছেন, নদিয়া-মুর্শিদাবাদের মহিলা মাদক কারবার চক্রটি কয়েক মাস ধরে সক্রিয়।
এক গোয়েন্দা কর্তা জানাচ্ছেন, পুলিশ এবং গোয়েন্দাদেরলাগাতার তল্লাশির পরে কারবারিরা ব্যবসার ধরনে কিছুটা বদলএনেছেন। পুলিশের থেকে বাঁচতে ঢাল হিসাবে সামনে রাখা হচ্ছে মহিলাদের। এর আগে বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দম্পতিকে। তখনইতদন্তে উঠে আসে বদলে যাওয়া কারবারের ধরন।