ইয়াসির ইকবাল
এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বান্ধবীকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ। মৃতের নাম ইয়াসির ইকবাল (২১)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, আদতে বেকবাগানের বাসিন্দা ইয়াসির গত মাসে তিলজলা রোডে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। ইয়াসিরের সঙ্গে থাকতেন তাঁর বান্ধবী। সল্টলেকের একটি কলসেন্টারের কর্মী ইয়াসির ও তাঁর বান্ধবী বুধবার ভোরে ফ্ল্যাটে ফেরেন। ওই তরুণীও কলসেন্টারে কাজ করেন। বুধবার সকাল আটটা নাগাদ ওই তরুণী ইয়াসিরের বেকবাগানের বাড়িতে ফোন করে জানান, ওই যুবক অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। ইয়াসিরের বাবা তনবির ইকবাল বলেন, ‘‘ফোন পেয়েই তিলজলার ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি, ছেলে অচৈতন্য অবস্থায় মেঝেয় পড়ে রয়েছে। গলায় ও হাতে জমাট বাঁধা রক্তের দাগ।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমার ছেলে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। ওই তরুণী আমার ছেলেকে খুন করেছে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করুক।’’ বৃহস্পতিবার রাতে মৃতের পরিবার পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে।
মৃতের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জেনেছে, এ দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ইয়াসিরকে দেখতে না পেয়ে তিনি পাশের ঘরে যান। সেখানে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলতে দেখা যায় ওই যুবককে। ওই তরুণীই ইয়াসিরকে নীচে নামান। তার পরে ওই যুবকের বাড়িতে ফোন করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিলজলার ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখা গেল, বাইরে তালা ঝুলছে। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী রবি মিশ্র বলেন, ‘‘ভোর চারটে নাগাদ প্রথমে ইয়াসিরের বান্ধবী আসেন। তিনি কিছু ক্ষণ ফ্ল্যাটের নীচে বসে থাকার পরে ইয়াসির ফেরেন। সকালে ইয়াসিরের বাড়ির লোকজন আসায় ঘটনার কথা জানতে পারি।’’ ওই ফ্ল্যাটের মালিক চন্দন যাদব বলেন, ‘‘বুধবার সকালে নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পারি। দেখি, দোতলায় ফ্ল্যাটের বাইরে ইয়াসিরের দেহ পড়ে। আমরাই ওঁকে হাসপাতালে পাঠিয়ে থানায় ফোন করি।’’
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট দেখে পুলিশের ধারণা, এটি আত্মহত্যা। তিলজলা থানা অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে। এ দিন লালবাজার থেকে হোমিসাইড শাখার আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে। মৃতের বান্ধবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।