প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মানিকতলায় এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ অনিচ্ছাকৃ খুনের মামলা রুজু করল। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করার পরে ঘটনায় অভিযুক্তদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অনিল রজকের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ঘটনা চিহ্নিত হয়েছে। তা ছাড়া, তাঁর পাকস্থলীতে মদ পাওয়া গিয়েছে।
নিহত অনিল (৪৭) মানিকতলা থানার বিডন স্ট্রিট এলাকার ক্যানাল ইস্ট রোডের বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারাজে মিস্ত্রি হিসাবে কাজ করতেন তিনি। বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ খবর পেয়ে অনিলের বাড়িতে যায় মানিকতলা থানার পুলিশ। তাঁকে আরজি কর থানায় নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, মঙ্গলবার রাতে পেটের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন অনিল। তাঁকে রাতেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু পথেই যুবকের মৃত্যু হয়। আবার দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন পরিবারের সদস্যেরা। বুধবার সকালে খবর পায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ স্থানীয় একটি কালীপুজোর মণ্ডপে ভোগ বিতরণকে কেন্দ্র করে বচসার জেরে সুকুমার দাস এবং শিবা বলে দুই ব্যক্তি অনিলকে মারধর করেছিলেন।
পুলিশের একটি সূত্রের খবর, নিহত অনিল প্রথমে সুকুমারকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন। পরে সুকুমারের সঙ্গীরা তাঁকে আক্রমণ করেন। তদন্তকারীদের ধারণা, মত্ত অবস্থায় থাকার কারণে অনিল তাঁর পেটের আঘাতের মাত্রা বুঝতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে অনিলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে অভিযুক্ত দু’জন তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন বলেও জেনেছে পুলিশ।