প্রতীকী ছবি।
চার দিকে সাধারণ মানুষের ভিড়। কেউ বা গাড়ি ধরার জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আবার কেউ কেনাকাটায় ব্যস্ত। এর মধ্যে পুলিশের ব্যানার লাগানো অটোয় করে চলছে মাইকে প্রচার। একই সঙ্গে সাধারণ নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে লিফলেট।
উপরের ওই ছবিটি কলকাতা পুলিশের বন্দর এলাকার। অবশ্য গত কয়েক দিন ধরেই শহরের বিভিন্ন এলাকাতেই পুলিশের ওই প্রচার গাড়ি ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশের একটি অংশ জানাচ্ছে, ছেলেধরা গুজবকে কেন্দ্র করে গণপিটুনিতে গত কয়েক দিনে উত্তরবঙ্গে একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শহরে ইদানীং এমন ঘটেনি ঠিকই। তবে গুজব রটনাকারীরা যাতে সক্রিয় হতে না পারেন, তার জন্য ওই তৎপরতা শুরু করেছে লালবাজার। গুজব ঠেকাতে প্রতিটি থানাকে পুলিশি সক্রিয়তার পাশাপাশি, লিফলেট বিলি এবং বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যার জন্যই অটোয় মাইক লাগিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল জায়গায় ওই প্রচার করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মাসকয়েক আগে কলকাতা এবং হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনির একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। লালবাজারের এক কর্তার দাবি, এ বার আবার রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় ফের সন্দেহের বশে গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। তার পরেই কলকাতা পুলিশের তরফে সব থানাকে ওই গুজব ছড়ানো ঠেকাতে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। তার জন্য লিফলেট বিলি এবং মাইকে প্রচার, পথসভা এবং সাধারণ মানুষকে নিয়ে ছোট ছোট বৈঠক করতে বলা হয়েছে থানার আধিকারিকদের। এ ছাড়া থানা এবং অফিসারদের ফোন নম্বরও সাধারণ মানুষকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাতে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই স্থানীয় মানুষ দ্রুত সেই ঘটনা পুলিশকে জানাতে পারেন।
লালবাজার জানিয়েছে, থানাগুলি ওই সচেতনতামূলক প্রচার নিয়মিত করছে কি না, তা দেখার জন্য বিভিন্ন ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনারদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।