ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ। —নিজস্ব চিত্র।
কয়েক দিন পরেই পরীক্ষা। তার আগে বালিগঞ্জ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সার্ভার রুমে ভাঙচুর চালানো হল। মিউজিক রুম, অডিটোরিয়ামেরও ভিতরে তাণ্ডব চলেছে। ইলেক্ট্রিক তার, এসি মেশিন যে ভাবে তছনছ করা হয়েছে, তাতে প্রাথমিক ভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষের ধারণা, কেউ আক্রোশের জেরেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। শুক্রবার লকডাউনের মধ্যে কী ভাবে সকলের নজর এড়িয়ে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোরও।
তাণ্ডবের এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ অর্ন্তঘাতের গন্ধ পাচ্ছেন। অনুমান করা হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় পরীক্ষা নিয়ে যাঁরা গুজব ছড়িছেন, তাঁদেরই কেউ হয়তো এই ঘটনায় দায়ী। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বালিগঞ্জ থানায় এফআইআর করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও সবিস্তার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে কলেজ সূত্র খবর।
কিছু দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার চলছিল, আগামী ১ অক্টোবর বালিগঞ্জের ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা হবে। করোনার সময় কেন ক্যাম্পাসে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়। যদিও এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দাবি করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের টিকা কি হার মানবে লেকটাউনের সুমির উদ্ভাবনের কাছে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজবের জেরে শেষে কলেজের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ক্যাম্পাসে পরীক্ষা হবে না। কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশের অনুমান, গুজব ছড়ানোর নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। যে ভাবে কলেজ ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়ে ইলেক্ট্রিকের তার নষ্ট করে সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাতে ১ অক্টোবর পরীক্ষা হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।