ঠিক যেমন হয়েছিল সত্যজিত রায়ের সিনেমা ‘সোনার কেল্লা’য়। গ্রাফিক—সনৎ সিংহ
‘ভবানন্দ’ গ্রেফতার। ‘চেলানন্দও’। দুই প্রতারককে ধরে বাস্তবের ‘ফেলুদা’ রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ!
এক চিকিৎসকের নাম এবং পরিচয় ব্যবহার করে ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন দুই প্রতারক। তাঁর প্যাডেই ওষুধ লিখে রোগীদের বোকা বানাচ্ছিলেন দিনের পর দিন। এমনকি, নিজেদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয়ও দিতেন তাঁরা। রবিবার রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুই প্রতারকের একজনের নাম শুভ নাথ। দক্ষিণ বিধাননগরের সুকান্তনগরের বাসিন্দা শুভর বিরুদ্ধে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার হওয়া আর একজন সম্ভবত তাঁর সহযোগী। নাম রাজীব সরকার। ৫২ বছরের রাজীব নিউ টালিগঞ্জে থাকেন। তবে রাজীবের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ কী, সে ব্যাপারে বিশদে কিছু জানায়নি পুলিশ।
প্রায় এক মাস আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রবীন্দ্র সরোবর থানায় অভিযোগ জানান এক চিকিৎসক। তিনি বলেন, তাঁর পরিচয় এবং ডিগ্রি লেখা প্যাড বেআইনি ভাবে ব্যবহার করছেন কেউ। যাঁরা এই কাজ করছেন, তাঁরা নিজেদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোগীদের নিয়মিত ওষুধও দিচ্ছেন।
ঠিক যেমন হয়েছিল সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ‘সোনার কেল্লা’য়। আসল ডক্টর হাজরাকে ঘায়েল করে তাঁর পরিচয় ব্যবহার করে তাঁর জীবনে বেমালুম ঢুকে পড়েছিলেন দুই প্রতারক ভবানন্দ এবং তাঁর চেলা মন্দার বোস। গল্পে গোয়েন্দা ফেলু মিত্তির সেই রহস্য সমাধান করেন। বাস্তবে ফেলুদার ভূমিকায় অবতীর্ণ রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল তারা। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ভুয়ো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।