হাওড়ায় একটি ট্রাক থেকে প্রচুর পরিমাণে পোস্তর খোলা আটক করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ধূলাগড় টোল প্লাজা এলাকায়। ব্যুরোর আধিকারিকেরা জানান, পোস্তর ওই খোলা মালদহের কালিয়াচক থেকে খড়্গপুরে পাচার করা হচ্ছিল। ওই ট্রাকের চালক তাপস সরকার এবং খালাসি সমীর দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ধরা হয়েছে রূপেশ অগ্রবাল নামে খড়্গপুরের এক ব্যবসায়ীকেও।
এনসিবি-র কলকাতা অঞ্চলের অধিকর্তা দিলীপকুমার শ্রীবাস্তব জানান, ৩ হাজার ৪০০ কিলোগ্রাম পোস্তর খোলা আটক করা হয়েছে। তিনি বলেন,‘‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে টোল প্লাজার বেশ খানিকটা আগে এনসিবি-র গোয়েন্দারা ফাঁদ পেতেছিলেন। ভোরে একটি ট্রাকে করে পাঁপড় আর চিপ্সের বস্তার আড়ালে পোস্তর খোলা পাচার করা হচ্ছিল। ট্রাকটি আটক করা হয়।’’ আটক করা ওই খোলার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা বলে জানান দিলীপবাবু।
ট্রাকটি আটক করার পরে তার চালক এবং খালাসিকে নিয়ে এ দিন সকালে খড়্গপুর যান গোয়েন্দারা। তার পরে রূপেশকে টেলিফোন করে ডাকা হয় ওই পোস্তর খোলা নেওয়ার জন্য। রূপেশ তা নিতে এলে এনসিবি তাঁকে গ্রেফতার করে।
গোয়েন্দারা জানান, পোস্তর চাষ একমাত্র উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে আইনসিদ্ধ। ওষুধ তৈরির জন্য পোস্তর খোলা ব্যবহার করা হয়। আবার পোস্তর খোলা গরম জলে সিদ্ধ করার পরে সেই জল খেলে নেশা হয় বলেও জানান গোয়েন্দারা। তাই ওই জিনিসের ব্যবসা করতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন। ধৃত রূপেশের কাছে কোনও লাইসেন্স ছিল না।