শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেফতারের ঘটনায় গড়িয়াহাট জোড়া খুনে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়ল মোট চার। ফাইল চিত্র।
পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে লুকিয়ে ছিলেন সেপটিক ট্যাঙ্কে। কিন্তু তাতেও লাভ হল না। গড়িয়াহাট জোড়া খুনে চতুর্থ অভিযুক্ত সঞ্জয় মণ্ডলকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ১৭ অক্টোবর গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে খুন হয়েছিলেন কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল। সেই ঘটনার ১২ দিনের মাথায় চতুর্থ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত ভিকি এবং তার আরও এক সঙ্গী এখনও অধরা। শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেফতারের ঘটনায় গড়িয়াহাট জোড়া খুনে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা দাঁড়ল মোট চার।
শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকা পারুলিয়া থেকে। পারুলিয়ার রামা বৈদ্য নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ভোর তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়েছিলেন সঞ্জয়। সম্ভবত পুলিশ আসার খবর পেয়েই গা-ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে সব করেও লাভ হল না।
সঞ্জয়ের বয়স ৩৪। ডায়মণ্ড হারবারে ভিকির বাড়ির কাছেই তাঁর বাড়ি। তিনি টোটো চালান। ১৭ অক্টোবর কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তাকে খুনের ঘটনায় সঞ্জয় সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। শুক্রবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
এর আগে সুবীর-খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে বাপি মণ্ডল এবং জাহির গাজি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তারও আগে গ্রেফতার করা হয় মিঠু হালদার নামে এক পরিচারিকাকে। ডায়মণ্ড হারবারের বাসিন্দা মিঠুই জোড়াখুনের ঘটনাটির মূল চক্রী বলে জানিয়েছিল পুলিশ। সুবীরকে খুন এবং তার পরে কী ভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালাতে হবে, তাও ঠিক করে দিয়েছিলেন মিঠু। পুলিশের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকারও করেন তিনি। এখনও মূল অভিযুক্ত ভিকিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ গড়িয়াহাটের ঘটনাটিতে ভিকির সঙ্গে ছিলেন আরও চার জন। সে ক্ষেত্রে ভিকি ছাড়াও আরও এক জন অভিযুক্ত এখনও অধরা।