ব্ল্যাকমেলিং-এর অভিযোগে ধৃত জীবন বিমার এজেন্ট। নিজস্ব চিত্র।
দু’লাখ টাকা দিতে হবে। না হলে আপনার কিছু ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হবে আপনার পরিবারের কাছে। সেই ব্যক্তিগত ছবি আপনার পরিবারের কাছে গেলে আপনার সুনাম নষ্ট হবে।
এই ভাষাতেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হুমকি পাচ্ছিলেন সল্টলেকের ব্যবসায়ী জি এল সিঙ্ঘল। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে আসছিল ওই হুমকি। পরে ফোন করেও সেই একই কথা বলা হচ্ছিল।
প্রথম দিকে কিছুটা দ্বিধা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিধাননগর দক্ষিণ থানায় অভিযোগ জানান ওই ব্যবসায়ী। পুলিশের পরামর্শেই শনিবার তিনি টাকা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সেই অনুযায়ী ফাঁদ পাতে পুলিশ। সন্ধ্যায় সল্টলেকে টাকা নিতে এলে হাতেনাতে পুলিশ ধরে ফেলে সৌমক মজুমদার নামে এক যুবককে। তাঁকে জেরা করেই বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
আরও পড়ুন: তরবারি নিয়ে ডাকাতদের হাত থেকে দোকান রক্ষা করলেন কর্মচারিরা
জানা যায়, গোটা পরিকল্পনার পেছনে রয়েছেন ওই যুবকের মা অঞ্জনা মজুমদার। পেশায় তিনি জীবন বিমার এজেন্ট। সেই সূত্র ধরেই কয়েক মাস আগে ওই ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিলেন জীবন বিমা করাতে। সেই সূত্রেই আলাপ। আর সেই আলাপ কাজে লাগিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কিছু ব্যক্তিগত ছবি জোগাড় করেন অঞ্জনা। সেই ছবি ব্যাবসায়ীর পরিবার দেখলে সমস্যা হবে এ কথা জানতেন তিনি। আর সেই ছবি এবং ভিডিয়োর কথা বলে টাকা আদায়ের ছক করেন অঞ্জনা।
আরও পড়ুন: ‘গুণ্ডা ট্যাক্স’ না দেওয়ায় হামলা কড়েয়ার নির্মাণ সংস্থায়, ভাঙচুর, মারধর কর্মীদের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার রানীকুঠির বাসিন্দা ধৃত মা-ছেলে। অঞ্জনা জেরায় দাবি করেছেন, কলকাতার একটি নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী ছিলেন তিনি। স্নাতক হয়েছেন একটি নামী কলেজ থেকে। পুলিশ তাঁর বয়ান খতিয়ে দেখছে। এর আগেও ঠিক একই ভাবে অন্য কাউকে ব্ল্যাকমেল করেছিলেন কি না, তা-ও দেখছে পুলিশ।
(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)