প্রতীকী ছবি।
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় ছিটকে পড়েছিলেন এক যুবক। তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় কয়েক জন। কিন্তু হাত ধরে টেনে তাঁকে তোলার চেষ্টা করতেই ওই যুবকের পকেট থেকে বেরিয়ে এল পিস্তল!
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বরাহনগরে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে আজাদ আলি (৩১) নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযোগ, তাঁর পকেট থেকে এক রাউন্ড কার্তুজও মিলেছে। শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, বরাহনগরের বাড়ুইপাড়া লেনের বাসিন্দা ওই যুবক এক জন বিজেপি কর্মী। কিন্তু পকেটে পিস্তল নিয়ে তিনি কোথায় যাচ্ছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই দিন সন্ধ্যায় বরাহনগরের বিদ্যায়তন সরণি দিয়ে তীব্র গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। সে সময়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক নিয়ে ছিটকে পড়েন তিনি। তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য যুবকেরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা সোমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার আওয়াজ শুনে বেরিয়ে এসেছিলাম। পাড়ার ছেলেরা ওঁকে তুলতে যেতেই পকেট থেকে পিস্তল বেরিয়ে আসে।’’ স্থানীয়েরাই আজাদকে আটকে রেখে তাঁর পকেটে তল্লাশি চালালে মেলে কার্তুজ। পরে খবর পেয়ে বরাহনগর থানার পুলিশ এসে আজাদকে গ্রেফতার করে।
বিদ্যায়তন সরণির বাসিন্দাদের দাবি, পকেট থেকে পিস্তল বেরিয়ে আসার পরেই তাঁরা আজাদকে চিনতে পারেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের সময়ে ওই যুবককে বিজেপির মিটিং-মিছিলে দেখা গিয়েছে। যদিও বিজেপির উত্তর শহরতলির সভাপতি কিশোর কর বলেন, ‘‘ওই যুবককে চিনি না। ওই নামে কোনও কর্মী বা কার্যকর্তা আছেন বলেও জানা নেই।’’ তবে তৃণমূলের বরাহনগর দক্ষিণের কার্যকরী সভাপতি তথা পুর কোঅর্ডিনেটর অঞ্জন পালের দাবি, ‘‘ভোটের সময়ে কাজে লাগিয়ে এখন চিনি না বললে তো চলবে না! হেরে যাওয়ার পরে বিজেপি এখনও সন্ত্রাস চালানোর চেষ্টা করছে, এটাই তার প্রমাণ।’’