প্রতীকী ছবি।
টিউশন পড়ানোর সুবাদে পড়ুয়ার অভিভাবকের সঙ্গে পরিচিতি বেড়েছিল শিক্ষিকার। সেই সুযোগেই ওই শিক্ষিকার বাড়ি থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনা-রুপোর গয়না ও আলমারিতে রাখা লক্ষাধিক টাকা চুরি করে পালানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকের বিরুদ্ধে। সাহিন পরভিন নামে ওই শিক্ষিকার মা সাল্লা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিবি তবাস্সুমকে গ্রেফতার করেছে একবালপুর থানার পুলিশ।
সাহিন জানান, তিনি একবালপুর থানা এলাকার ডেন্ট মিশন রোডে থাকেন। কলেজে পড়ার পাশাপাশি বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়েদের টিউশনও পড়ান। তবাস্সুমের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে তাঁর কাছে পড়ত। সাহিন জানান, তাদের টিউশনে দিতে-নিতে আসতেন তবাস্সুম। সেই সূত্রে আলাপ গাঢ় হয়। কখনও কখনও তবাস্সুম ঘরে বসে গল্পও করতেন।
সাহিন বলেন, ‘‘শনিবার রাত ৮টা নাগাদ তবাস্সুম আমাকে বাইরে দেখা করতে ডাকেন। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়িতে তালা দিয়ে আমি যাই। কিন্তু তবাস্সুম যেখানে ডেকেছিলেন, সেখানে গিয়ে দেখি তিনি নেই। আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করে বাড়ি ফিরি। ঘরের তালা খুলে দেখি, আলমারি খোলা। সোনা-রুপোর গয়না, টাকা কিছুই নেই।’’
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তালা ভাঙা হয়নি অথচ কী করে চুরি হল, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। সাহিনের বাড়িতে কী হয়েছে জানতে তবাস্সুমও আসেন। সাহিন বলেন, ‘‘তবাস্সুমের আচরণে আমার সন্দেহ হয়। আমাকে ডেকে নিজে কেন এলেন না, ওঁকে জিজ্ঞাসা করি। তবাস্সুম জানান, হঠাৎ কাজ পড়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি। ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে আমার বাড়িতে এসেছিলেন কি না জিজ্ঞাসা করলে তিনি আসেননি বলে জানান।’’
পুলিশ এর পরে সাহিনের বাড়ির সামনের রাস্তায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখে, তবাস্সুম সাহিনের বাড়ির দিকে যাচ্ছেন। কেন তিনি সাহিনের বাড়ি আসা নিয়ে মিথ্যা বলেছেন, তার সদুত্তর তবাস্সুম দিতে পারেননি বলে পুলিশের দাবি।
এর পরে রাতেই একবালপুর থানার পুলিশ তবাস্সুমকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। থানার এক আধিকারিক জানান, জেরায় তবাস্সুম চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। তাঁর কাছ থেকে গয়না ও টাকা পয়সা উদ্ধার হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, সাহিনের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়ার সুযোগে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে আর একটি ডুপ্লিকেট বানিয়েছিলেন। শনিবার রাতে সেই চাবি দিয়েই তালা খুলে চুরি করেন তিনি।