বছরের পর বছর ইমারতি সামগ্রী ও ভাবেই রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। ফাইল ছবি।
রাস্তার একাংশ দখল করে যত্রতত্র রাখা হয়েছে বালি, পাথর, ইট-সহ ইমারতি দ্রব্যের স্তূপ। রাস্তা তো নয়, যেন ব্যবসায়ীদের গুদাম। দক্ষিণ দমদমের বিভিন্ন রাস্তা নিয়ে এমনটাই অভিযোগ পথচারীদের। প্রশাসনের দাবি, তাদের তরফে ওই সমস্ত সামগ্রী সরানোর জন্য একাধিক বার আবেদন করা হলেও বিশেষ সাড়া মেলেনি। সমস্যা মেটাতে এ বার তাই রাস্তা থেকে ইমারতি দ্রব্যসরানোর কাজ শুরু হয়েছে। শনিবার ট্র্যাফিক পুলিশ যশোর রোডে এই কাজ শুরু করেছে।
ইমারতি দ্রব্য সরবরাহকারী এবং ঠিকাদারদের একাংশের বক্তব্য, জায়গার অভাবে বাধ্য হয়েই রাস্তার ধারে নির্মাণ সামগ্রী জড়ো করতে হয়। তবে, কাজ মিটে গেলে পড়ে থাকা অতিরিক্ত সামগ্রী সরিয়েও নেওয়া হয়। বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য এমন যুক্তি মানতেনারাজ। তাঁদের বক্তব্য, কবে কাজ শুরু হয় আর কবে শেষ হয়, তা বোঝার উপায় নেই। কারণ, বছরের পর বছর ইমারতি সামগ্রী ও ভাবেই রাস্তায় ফেলে রাখা হয়।
রাকেশ সিংহ নামে এক গাড়িচালকের কথায়, ‘‘বালি, পাথর এক জায়গায় স্তূপীকৃত করাথাকলেও রাস্তায় ছড়িয়ে যায়। যার জেরে গাড়ি চলাচলের সময়েবিপদের আশঙ্কা থাকে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ওই সব সামগ্রীরাখার মতো জায়গার সত্যিই অভাব রয়েছে। তাই একটি নির্দিষ্ট সময়পর্যন্ত অপেক্ষা করা হচ্ছে, যাতে সেগুলি সরিয়ে নিয়ে যেতেপারেন মালিকেরা। তার পরেও নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকলে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) সঞ্জয় দাস জানান, জনবহুল রাস্তায়এ ভাবে নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকলে যান চলাচল-সহ নানা সমস্যা হয়। তাই সেগুলি সরাতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দমদম পুরসভা জানিয়েছে, রাস্তা বা ফুটপাত দখল করে ইমারতি সামগ্রী রাখা হলে পুরসভা তা সরিয়ে দেবে।