Kolkata High Court

পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ চেয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অজয়কুমার দে পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৪১
Share:

দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।— ফাইল চিত্র।

বারোয়ারি দুর্গাপুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে, ‘করোনা সুনামি’ আসতে পারে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল। এই আশঙ্কা জানিয়ে চিকিৎসকদের যৌথ সংগঠন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছে। এ বার দুর্গাপুজো নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলাও। হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা।

Advertisement

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে অজয়কুমার দে পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা দায়ের করেন। তাঁর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছি। সুপ্রিম কোর্ট রথযাত্রার নিয়ে রায় দিতে গিয়ে নির্দিষ্ট করে নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের তরফে আবার ক্লাবগুলিকে৫০ হাজার টাকা দিয়ে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। ওই টাকা যাতে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করা হয়, সে বিষয়েও হাইকোর্টকে জানানো হয়েছে।”

দুর্গাপুজোর সময় কী কী নির্দেশিকা মানতে হবে, তা নিয়ে পুজো উদ্যোক্তা এবং পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাজ্য প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করে। সেই নির্দেশিকা মেনে তিন দিক খোলা মন্ডপ হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের পদস্থকর্তারা।

Advertisement

আরও পড়ুন: পড়ছে ভারত! মাথা পিছু উৎপাদনে ‘অচ্ছে দিন’ যাচ্ছে বাংলাদেশে

এ প্রসঙ্গে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু বলেন, “সরকার আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে। আমার তা মেনেও চলছি। দর্শকদেরও দায়িত্ব রয়েছে। তারা যাতে মাস্ক পরেন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এর পর যদি কলকাতা হাইকোর্ট কোনও নির্দেশ দেয়, তাও আমরা মেনে চলব।”

আরও পড়ুন: অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও সঙ্কটমুক্ত নন, আজ ফের করোনা পরীক্ষা

কী ভাবছেন চিকিৎসকেরা? জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস (ওয়েস্ট বেঙ্গল)-এর তরফে চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, “ইতিমধ্যেই করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে মহালয়ার পর থেকে। পুজোর সময় যদি ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। এই মামলার প্রেক্ষিতে যদি আদালত সরকারকে বিধি-নিষেধ পালন করতে বাধ্য করে, তা হলে রাজ্যের পক্ষে ভাল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement