প্রতীকী ছবি।
আশঙ্কাই সত্য। দূষণের নিরিখে রবীন্দ্র সরোবরের অবস্থা খুব খারাপ বলে জানাল জাতীয় পরিবেশ আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। কলকাতায় জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় ডিভিশন বেঞ্চে এ নিয়ে রিপোর্ট দাখিল করেছে তারা। সরোবরের রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা কেএমডিএ-কে এ ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কমিটি।
সরোবরের দূষণ নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা করেছিলেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। আদালত রাজ্য জীববৈচিত্র পর্ষদের চেয়ারম্যান অশোককান্তি সান্যালের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগ করেছিল। সুভাষবাবুর মন্তব্য, ‘‘রিপোর্টে অনেক নতুন দিক তুলে ধরেছেন সদস্যরা।’’ সুভাষবাবুর অভিযোগ, সরোবরের ভিতরের ক্লাবগুলি দূষণ ছড়াচ্ছে। কমিটি জানিয়েছে, ক্লাবগুলিতে নানা অনুষ্ঠানের সময়ে দূষণ ছড়াচ্ছে। এই নিয়ে কেএমডিএ-কে নির্দিষ্ট নিয়ম চালু করতে হবে। ক্লাবগুলির পার্কিং লট বাইরে নিয়ে যেতে হবে।
সুভাষবাবু দাবি মতো কমিটি আইএসএল খেলা বন্ধ করতে না বললেও সরোবর চত্বরে খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বারণ করেছে। ছটপুজো অন্যত্র সরাতে জনগণকে সচেতন করতেও বলেছে কমিটি। কমিটি জানিয়েছে, পরিবেশগত সমীক্ষা না করে ওখানে নির্মাণ বা সম্প্রসারণের কাজ করা যাবে না। বুধবার শুনানিতে সরোবর চত্বরে মন্দির নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। যদিও কেএমডিএ-র আইনজীবী পৌষালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এমন কিছু হচ্ছে না। বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন বলেছে, আপাতত কোনও নির্মাণ করা যাবে না।
কমিটি জানিয়েছে, সরোবরে নিয়মিত জঞ্জাল সাফাই করতে হবে। গেটে নজরদারির ব্যবস্থা করে প্লাস্টিকের বোতল, ক্যারিব্যাগ নিয়ে প্রবেশ বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা করতে হবে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের একাংশ জানান, এ ব্যাপারে ক্লাবগুলি ও কেএমডিএ-র জবাব এ দিন জমা পড়েনি। আগামী শুনানিতে এ ব্যাপারে রায় ঘোষণা করতে পারে পরিবেশ আদালত।