ছবি সংগৃহীত।
রাস্তা পারাপারের জন্য সাবওয়ে রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ পথচারীই সেই সাবওয়ে ব্যবহার করতে চান না। সাবওয়ের প্রবেশপথে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকলেও ভিতরটা নির্জন বলে অনেকের দাবি। নিরাপত্তা ও নজরদারির বিষয়গুলি বিবেচনায় রেখে নিউ টাউনের আকাঙ্ক্ষা মোড়ের ওই সাবওয়েতে কিয়স্ক বসাতে চলেছে নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ)। সংস্থা সূত্রের খবর, এক দিকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অন্য দিকে নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনায় রেখে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ওই সাবওয়ে কয়েক বছর আগে তৈরি হলেও স্থানীয়দের অনেকে রাস্তা দিয়েই পারাপার করেন। সাবওয়ের একাধিক প্রবেশপথের প্রতিটিতেই নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। কিন্তু ভিতরে লোক চলাচল খুব কম হওয়ায় সেখান দিয়ে যাতায়াত করতে অনেকেই অস্বস্তিতে ভোগেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন।
সাবওয়ের কাছে একটি আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশ জানান, সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফেরার সময়ে নির্জন সাবওয়েতে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন তাঁরা। ফলে ঝুঁকি নিয়েই রাস্তা দিয়ে তাঁদের পারাপার করতে হয়।
এ বার তাই বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মাথায় রেখে সাবওয়ের ভিতরে ২৮টি কিয়স্ক বসানোর পরিকল্পনা করেছে এনকেডিএ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, ‘‘সাবওয়ের মধ্যে জিনিসপত্র কেনাবেচা হলে সেখানে লোক চলাচল যেমন বাড়বে, তেমনই নজরদারি এবং নিরাপত্তাজনিত শঙ্কাও কাটবে।’’ তাঁদের মতে, স্টল থাকলে যাতায়াতের পথে জরুরি জিনিসপত্র কিনেও নেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের মত, স্টলগুলি স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে লকডাউনের সময়ে কাজ হারানো অনেকেরই উপার্জনের পথ খুলে যাবে।
এনকেডিএ সূত্রের খবর, সাবওয়ের ভিতরে কিয়স্ক নিয়ে কেমন সাড়া মিলছে এবং আনুষঙ্গিক কিছু বিষয়ে খোঁজখবর করার পরে প্রকল্পটি কার্যকর করার পথে এগোনো হবে।
এনকেডিএ-র এক কর্তা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে রাস্তার উপর দিয়ে পারাপারের প্রবণতা কমবে। তার ফলে কমবে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও।