প্রিয়াঙ্কা। নিজস্ব চিত্র
জুনিয়র মৃধা খুনে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীর বক্তব্যে অসঙ্গতি পাচ্ছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, রীতিমতো আঁটঘাঁট বেঁধে জুনিয়রকে ডেকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন জড়িত রয়েছেন। সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতে, খুনের দিন প্রিয়াঙ্কা কার কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখতে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। ওই তালিকায় রয়েছেন গাড়ির চালকও। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে জুনিয়রের বাবা-মাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদেরও পরিকল্পনা রয়েছে সিবিআইয়ের।
প্রিয়াঙ্কা অন্য কারও সঙ্গে ‘আঁতাঁত’ করে খুনের পরিকল্পনার করেছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন পরিচিত কারও সঙ্গে ছিলেন জুনিয়র। তাঁকে খুব কাছ থেকেই গুলিও করা হয়। প্রিয়াঙ্কার কল রেকর্ডও ফের খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বামীকে খুনের তিন বছর পরে যাবজ্জীবন স্ত্রী এবং প্রেমিকের
ঘটনার ১০ বছর পর প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এখন তিনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হেফাজতেই রয়েছেন। প্রথমে বরাহনগর থানা, তার পর সিআইডি খুনের তদন্ত করলেও, কেউ গ্রেফতার হয়নি। জুনিয়রের পরিবারের তরফে বার বার অভিযোগের আঙুল উঠছিল প্রিয়াঙ্কার দিকেই। বরাহনগর থানা প্রথমে দুর্ঘটনা বলে বিষয়টি গুরত্ব দেয়নি বলে দাবি করেন জুনিয়রের বাবা সমরেশ মৃধা। সিআইডি তদন্তেও বিশেষ কিছু হয়নি। এর পর আইনি পথে হেঁটেই লড়াই জারি রেখেছিলেন তরুণ ওই ইঞ্জিনিয়ারের পরিবার। ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয়।
আরও পড়ুন: কেন খুন হতে হল ছেলেকে, উত্তর খুঁজছেন জুনিয়রের বাবা