আরও একটি পাসপোর্ট কেন্দ্রের পরিকল্পনা

সেখানে ইতিমধ্যেই পাঁচিল তোলা হয়ে গিয়েছে। দফতর ছাড়াও সেখানে অফিসারদের বাসস্থানও হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৬
Share:

এ বার তৎকাল পাসপোর্টে আর ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট লাগবে না বলে জানিয়ে দিল বিদেশ মন্ত্রক।

দেশের মধ্যে এখন সবচেয়ে ব্যস্ত পাসপোর্ট দফতরটি কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস ও কসবা কানেক্টরের মোড়ে। এই মুহূর্তে সেই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র (পিএসকে) থেকে রোজ ২২০০টি আবেদন মঞ্জুর করা হচ্ছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার এই তথ্য দিয়ে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার জানিয়েছেন, কলকাতায় আরও একটি পিএসকে করার ভাবনা রয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের। রাজারহাটে ইকো পার্কের কাছে বিদেশ মন্ত্রকের যে জমি আছে, সেখানে ভবিষ্যতে বিদেশ ভবন তৈরি করা হবে। বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে সমস্ত দফতরগুলিকে সেখানে এক ছাদের নীচে নিয়ে আসা হবে। ওই ভবনেই আরও একটি পিএসকে তৈরির পরিকল্পনা আছে। সেখানে ইতিমধ্যেই পাঁচিল তোলা হয়ে গিয়েছে। দফতর ছাড়াও সেখানে অফিসারদের বাসস্থানও হবে বলে জানা গিয়েছে।

এ দিন বিভূতিবাবু বলেন, ‘‘বিদেশ ভবনের প্রাথমিক নকশা করে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই দিল্লি থেকে একটি দল এসে সরেজমিন জমি দেখবে।’’ এখন ব্রেবোর্ন রোডে যে পাসপোর্ট অফিস আছে, সেটি ছাড়াও বিদেশ মন্ত্রকের ব্রাঞ্চ সেক্রেটারিয়েটের দফতর রয়েছে বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের কেন্দ্র রয়েছে হো চি মিন সরণিতে এবং প্রটেক্টর অব ইমিগ্র্যান্টস-এর অফিস সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। এই চারটি দফতরকেই নিয়ে যাওয়া হবে রাজারহাটে।

Advertisement

ব্রেবোর্ন রোডে পাসপোর্টের অফিসটি বহু পুরনো। আগে সেখানে গিয়েই পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে হত। সেই অফিসের নীচে দীর্ঘ লাইন পড়ত। বছর পাঁচেক আগে বাইপাসে নতুন পিএসকে তৈরি করা হয়। সেখানেই এখন পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়া হয়। শুধু পাসপোর্টের যে আবেদনগুলি বিতর্কিত, সেগুলি মীমাংসা করা হয় ব্রেবোর্ন রোডের অফিস থেকে। আগে প্রতি দিন এমন ১৮০টি আবেদন গ্রহণ করা হত। এখন দৈনিক ২৫০টি আবেদন দেখা হয়। বিভূতি কুমার জানিয়েছেন, ২৯ জানুয়ারি থেকে ওই বিতর্কিত আবেদনগুলির সমস্যা মেটাতে টানা সাতটি কাজের দিন আদালত বসবে ব্রেবোর্ন রোডের অফিসে।

দীর্ঘ দিন ধরে কলকাতা শহরের বুকে দ্বিতীয় একটি অফিসের খোঁজে ছিল বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু, চাহিদা মতো জায়গা মিলছিল না। শহরের বুকে কোথাও জায়গা পেলেও গাড়ি রাখা নিয়ে সমস্যা ছিল। তবে রাজারহাটে বিদেশ ভবন চালু হতে এখনও কমপক্ষে চার বছর লাগবে বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের অফিসারেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement