প্রদর্শনীর একটি ছবি।
রাজারহাটের কাছে এক জলাভূমি অধ্যুষিত জঙ্গলে বেশ কিছু পাখি আসে। লেন্স হাতে নানান আলোকচিত্রীরা ভিড়ও জমান। স্থানীয় ছেলেছোকরার দল সেই জঙ্গলে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাস্তুহারা সেই পাখিরা ক্রমাগত চেঁচিয়ে তার প্রতিবাদ করে। আমাদের বাঁচাও। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি হলে পাখির আর্তি একটা গল্প হয়ে যায়।
কিংবা বান্ধবগড়ের জল থেকে ওঠা বাঘের ল্যাজে জলের ঘূর্ণি, করবেটে দামাল হাতির দলের ধুলো মাখামাখির সাদা-কালো গল্পকথা, বরফজমাট লাদাখি ঝর্না, অজন্তার গুহামুখ থেকে ঝরে পড়া ঝর্না, তাড়োবায় শিকারের জন্য বাঘের লম্বা ঝাঁপ, আফ্রিকার আধখাওয়া কুলফির মতো চাঁদের পাহাড়ের ব্যাকগ্রাউন্ডে বিশালাকার হাতির দাপাদাপি, সূর্যাস্তের মায়াময় সিল্যুটে জিরাফের ঘরে ফেরা, আবার জাপানি রাষ্ট্রদূতের তোলা নানান মরসুমে জাপানের সৌন্দর্য, অপরূপ পেরুর মহিমা। ৫০ জন আলোকচিত্রীর প্রত্যেকেই সমাজের নানান পেশায় যুক্ত। কেউ চিকিৎসক, কেউ আইটি সেলের কর্ণধার, কেউ শিক্ষক, কেউ বা ভ্রামণিক। শুধু শখ নয়, ফটোগ্রাফির মাধ্যমে পরিবেশ, বন্যপ্রাণ, আর প্রকৃতিকে রক্ষার সচেতনতার বার্তা ফুটিয়ে তুলেছেন আলোকচিত্রের মাধ্যমে। শুক্রবার গ্যালারি গোল্ডে লেন্সএনউংসের তৃতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সূচনা করেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। আগামিকাল, রবিবার পর্যন্ত বেলা ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনীটি। ঠাঁই পেয়েছে প্রায় ২০০টি ছবি।
আরও পড়ুন: কালীঘাটে গণধর্ষণ-কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও ১ অভিযুক্ত
আরও পড়ুন: পাভলভে রোগিণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য