Death by drowning

নাছোড় পরিবার, কিশোরের খোঁজে আট বার গঙ্গায় তল্লাশি

ফেয়ারলি জেটিতে স্নান করতে নেমেছিল বছর পনেরোর মহম্মদ ওয়ারিস। জলের তোড়ে আচমকা তলিয়ে যায় সে।

Advertisement

চন্দন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ০৯:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জ্যোতিষী নাকি দাবি করেছেন, গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া কিশোর জীবিত! তাই তার বাবার জোরাজুরিতে ঘটনার এক মাস বাদে গঙ্গায় নেমে তল্লাশি চালাতে বাধ্য হল পুলিশ। দক্ষিণেশ্বর থেকে বাবুঘাট পর্যন্ত অংশে বার আটেক তল্লাশি চলে। তার পরেও অবশ্য নিখোঁজের সন্ধান মেলেনি।গত ১৫ এপ্রিল দুপুরে ফেয়ারলি জেটিতে স্নান করতে নেমেছিল বছর পনেরোর মহম্মদ ওয়ারিস। জলের তোড়ে আচমকা তলিয়ে যায় সে। উত্তর বন্দর থানা এবং কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা তল্লাশিতে নামেন। তিন দিন ধরে বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি চালানো হয়। যদিও ওই কিশোরের সন্ধান মেলেনি। নবম শ্রেণির ছাত্র ওয়ারিসের বাড়ি বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে। বাবা মহম্মদ ওয়াসিম দুধের ব্যবসা করেন। পরিবারের দাবি, সাঁতার জানত না সে।

Advertisement

ঘটনার পর থেকে ছেলের খোঁজে মাঝেমধ্যেই থানায় আসতেন বাবা। কিন্তু মাসখানেক বাদে এক দিন তিনি দাবি করেন, তাঁর ছেলে জীবিত আছে। অজমেরের এক জ্যোতিষী তাঁদের তেমনটাই জানিয়েছেন! উত্তর বন্দর থানার এক আধিকারিক জানান, পরিবারের দাবি ছিল, জ্যোতিষী বলেছেন, গঙ্গার দক্ষিণেশ্বরের দিকে খুঁজলে ওয়ারিসের সন্ধান মিলবে। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা ওঁদের বারকয়েক ফিরিয়ে দিই। কিন্তু কিশোরের পরিবার কোনও কথাই শুনছিল না। সকাল-বিকেল থানায় আসতে থাকেন ওঁরা। তাই বাধ্য হয়ে তল্লাশি চালাতে হয়।’’

পুলিশ জানিয়েছে, বার বার তল্লাশি চালানোর পরেও মাঝেমধ্যে থানায় আসছেন ওয়ারিসের বাবা। থানার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘কেউ জলে ডুবে গেলে তাঁর পরিবারের তরফে যত ক্ষণ তল্লাশি চালাতে বলা হয়, তত ক্ষণই তল্লাশি চালাই আমরা। বার বার এসে কেউ যদি অনুরোধ করতে থাকেন, তা হলে এক সময়ে তো সেটা করতেই হয়।’’ আর কিশোরের বাবা মহম্মদ ওয়াসিম বলছেন, ‘‘ছেলের দেহ তো আমরা পাইনি। কী করে মানব, ছেলে আর নেই! জানি না, কোথাও হয়তো বেঁচে আছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement