পঞ্চায়েতের ভোটাররাও পাবেন পুর পরিষেবা

ভোট দিলেও কোনও সুযোগসুবিধা পান না। তাই বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের জানিয়েছিলেন ওই বাসিন্দারা। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটছিল না। সম্প্রতি পুরসভার বরো-ভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠকে ওই বাসিন্দাদের অসুবিধার বিষয়টি ওঠে।

Advertisement

অনুপ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০২:০১
Share:

মেয়র ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।

থাকেন কলকাতার বাইরের গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে। কিন্তু ভোট দেন কলকাতা পুরসভা এলাকায়। এমনই হাজার দেড়েক বাসিন্দাকে এ বার কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভূক্ত আনা হচ্ছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ১০৯, ১১২ এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া কয়েকটি জায়গায় ওই ভোটারেরা থাকেন। কিন্তু পুর এলাকা না হওয়ায় পানীয় জল, আলো, নিকাশি এবং জঞ্জাল সাফাইয়ের কোনও কাজই সেখানে করে না পুর প্রশাসন।

Advertisement

ভোট দিলেও কোনও সুযোগসুবিধা পান না। তাই বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলরদের জানিয়েছিলেন ওই বাসিন্দারা। কিন্তু পরিস্থিতির বদল ঘটছিল না। সম্প্রতি পুরসভার বরো-ভিত্তিক প্রশাসনিক বৈঠকে ওই বাসিন্দাদের অসুবিধার বিষয়টি ওঠে। তার পরেই সিদ্ধান্ত হয়, ওই সমস্ত এলাকায় এ বার থেকে পুর পরিষেবা দেওয়া হবে।

সোমবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে ওই সমস্ত জায়গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পড়লেও সেগুলি ঘেরা রয়েছে কলকাতা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড দিয়ে। ওই বাসিন্দারা ভোটও দেন কলকাতা পুরসভায়। তাই তাঁদের পুর পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই সমস্ত এলাকা কলকাতা পুরসভার অধীনে আনতেও পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পুরসভার বিশেষ কমিশনার তাপস চৌধুরীকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের অর্জুন পার্ক, সুবর্ণবিহার, ১১২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত সরণি, সারদামণি পার্ক এবং ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের আসুতি গ্রামের মতো এলাকাগুলি কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করতে খুব শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু করবে পুরসভার চিফ ভ্যালুয়ার অ্যান্ড সার্ভেয়ার দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement