দুপুর থেকে সন্ধ্যা— শুক্রবার জোড়া মিছিলের জেরে যানজটে নাকাল হলেন মানুষ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন নারদ-কাণ্ডে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কলকাতা জেলা তৃণমূলের হাজার সাতেক কর্মী ও সমর্থক দুপুর দেড়টা নাগাদ শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর থেকে মিছিল শুরু করে মৌলালি হয়ে এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এসে পৌঁছন। তাতে যোগ দিতে আবার সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন দিক থেকে মিছিল করে শিয়ালদহে আসেন কর্মী-সমর্থকেরা।
এর জেরে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডের একাংশ থেকে শুরু করে মৌলালি ও আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের বিস্তীর্ণ অংশে যানজট হয়। আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্সও।
অবশ্য, মিছিলের কর্মীরা এবং কর্তব্যরত পুলিশ অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য রাস্তা করে দেন। এস এন ব্যানার্জি রোড এবং ওয়াই চ্যানেলের সামনে জওহরলাল নেহরু রোডের একাংশ বন্ধ থাকায় এখানেও গাড়ি চলাচলে অসুবিধা হয়।
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ দিয়ে যে সমস্ত গাড়ি দক্ষিণ কলকাতার দিকে যাচ্ছিল সেগুলি রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ দিয়ে ঘোরানো হয়। মিছিলের জেরে মৌলালি বন্ধ থাকায় সিআইটি রোড দিয়ে গাড়ি এবং বাস ঘোরানো হয় বলে জানায় পুলিশ।
এ দিন সন্ধ্যায় একটি ধর্মীয় মিছিলের জেরে মধ্য কলকাতায় ফের যানজট হয়। মিছিল শুরু হয় বড়বাজার থেকে। কলাকার স্ট্রিট, স্ট্র্যান্ড ব্যাঙ্ক রোড হয়ে সেটি গোটা বড়বাজার অঞ্চল ঘোরে। যার জেরে যানজট হয় মহাত্মা গাঁধী রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ রোডের একাংশে।