Coronavirus

করোনা আতঙ্কে আটকে গেল মক্কা যাত্রাও

পুণ্য অর্জনের জন্য যেমন বছরের নির্দিষ্ট সময়ে হজে যান তীর্থযাত্রীরা, তেমনই সারা বছর ধরে ওমরাহ-র জন্যও যান তাঁরা। হজ ছাড়া অন্য সময়ে মক্কায় কাবা-ঘর পরিদর্শন করাকেই ওমরাহ বলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:২২
Share:

—ফাইল ছবি

সকাল সকাল বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৭৭ জন যাত্রী। বিমান ধরে দুবাই ঘুরে মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের।

Advertisement

পুণ্য অর্জনের জন্য যেমন বছরের নির্দিষ্ট সময়ে হজে যান তীর্থযাত্রীরা, তেমনই সারা বছর ধরে ওমরাহ-র জন্যও যান তাঁরা। হজ ছাড়া অন্য সময়ে মক্কায় কাবা-ঘর পরিদর্শন করাকেই ওমরাহ বলে।

কিন্তু, মক্কা পর্যন্ত পৌঁছতে পারলেন না তাঁরা। কলকাতা বিমানবন্দরেই ওই ৭৭ জন যাত্রীকে বৃহস্পতিবার সকালে আটকে দেয় উড়ান সংস্থা এমিরেটস। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ সৌদি আরব থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে বার্তা আসে। বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে কোনও তীর্থযাত্রীকেই সৌদি আরবে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নোভেল করোনাভাইরাসই এই নিষেধাজ্ঞার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ওই বার্তা আসার পরেই যাত্রীদের আটকে দেওয়া হয়। তত ক্ষণে তাঁরা অভিবাসন দফতর, নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে বোর্ডিং গেট পর্যন্ত চলে গিয়েছিলেন।

Advertisement

ওই উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, আগামী এক মাস সৌদি আরবে ঢোকার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ফলে আগামী দিনে যাঁরা দুবাইয়ে নেমে মক্কায় যাওয়ার জন্য এমিরেটস-এর উড়ানের টিকিট কেটে রেখেছেন, তাঁদের আগাম খবর পাঠানো শুরু হয়েছে। কলকাতা থেকে এখন দুবাই যাচ্ছে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানও। তারাও যাত্রীদের আগাম খবর পাঠাতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও কলকাতা থেকে আবু ধাবির উড়ান চালানো এতিহাদ সংস্থা এবং দোহার উড়ান চালানো কাতার সংস্থাও যোগাযোগ করতে শুরু করেছে তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে। আবু ধাবি ও দোহা ঘুরে মক্কা যাওয়ার জন্য অনেকে ওই দুই উড়ানেরও টিকিট কেটে রেখেছেন।

মালদহের কালিয়াচকের একটি মসজিদের ইমাম মহম্মদ শাহজাহান এ দিন কলকাতা থেকে দুবাই হয়ে মক্কা যাবেন বলে এসেছিলেন। কিন্তু ওই ৭৭ জনের মধ্যে তাঁরও নাম ছিল তালিকায়। শাহজাহান বলেন, ‘‘আপাতত আমাদের ফিরে যেতে হবে। সৌদি সরকার আবার যখন আমাদের অনুমতি দেবে, তখন যাব।’’ শাহজাহান জানিয়েছেন, এ দিন যাঁরা যেতে পারেননি তাঁরা বেশির ভাগই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বাসিন্দা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement