সাবওয়ে ফাঁকা, পথই ভরসা পথচারীদের

আকাঙ্ক্ষা মোড়ে একাধিক রাস্তা রয়েছে। একটি রাজারহাট রোডের দিকে গিয়েছে। অন্যটি গিয়েছে ভিআইপি রোডে। নারকেলবাগান মোড় হয়ে সল্টলেকের দিকে গিয়েছে একটি রাস্তা। একটি আবার গিয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৯ ০৩:০৭
Share:

সাবওয়ে যখন বিশ্রামস্থল।

সাবওয়ে নয়, যেন গোলকধাঁধা! নিউ টাউনের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে সাবওয়ে যাঁরা ব্যবহার করেন তাদের অধিকাংশের এমনই মনে হয়।

Advertisement

এই সাবওয়ে দিয়ে ঢোকা বেরোনোর দশটি গেট রয়েছে। কিন্তু কোন দিক দিয়ে ঢুকে কোথায় বেরোনো যাবে, তা স্পষ্ট লেখা নেই বলে অভিযোগ পথচারীদের। তাঁদের দাবি, নির্জন সাবওয়েতে ঢোকার পরে কোন গেট দিয়ে বেরোতে হবে তা বুঝতে না পারায় রাস্তা হারানোর আশঙ্কায় থাকেন পথচারীরা।

আকাঙ্ক্ষা মোড়ে একাধিক রাস্তা রয়েছে। একটি রাজারহাট রোডের দিকে গিয়েছে। অন্যটি গিয়েছে ভিআইপি রোডে। নারকেলবাগান মোড় হয়ে সল্টলেকের দিকে গিয়েছে একটি রাস্তা। একটি আবার গিয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। এই মোড়ের কাছে বেশ কিছু বহুতল রয়েছে। এখান দিয়েই গড়িয়া-কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো রেলের লাইন হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই মোড় আরও জনবহুল হবে এমন ভাবনা থেকেই হিডকো কয়েক বছর আগে সাবওয়েটি তৈরি করেছে। ইকো পার্ক এবং বিভিন্ন দিকে বেরোনোর জন্য সাবওয়েতে একাধিক গেট রয়েছে।

Advertisement

তবুও সাবওয়ে ব্যবহারে অনীহা পথচারীদের। আকাঙ্ক্ষা মোড় সংলগ্ন বহুতলের বাসিন্দাদের দাবি, পর্যাপ্ত নিরাপত্তাকর্মী সাবওয়েতে না থাকায় যাতায়াত করতে ভয় লাগে তাঁদের। বিশাল ওই সাবওয়েতে সিসি ক্যামেরা নেই বলেও তাঁদের অভিযোগ। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ সাবওয়েতে গিয়ে দেখা গেল, দীর্ঘ সাবওয়ের বেশির ভাগ গেটেই রক্ষী নেই। যদিও রাজারহাট রোডের দিকের সাবওয়ের গেটে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীর দাবি, মোট চারটি গেটে তিন শিফ্‌টে ১২ জন রক্ষী সাবওয়েতে থাকেন। রাত ১১ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সাবওয়ে বন্ধ থাকে। যদিও এত বড় সাবওয়েতে ১২ জন রক্ষী যে যথেষ্ট নয়, মানছেন নিরাপত্তারক্ষী এবং স্থানীয়েরাই।

এই সাবওয়ের ভিতরের মোড়গুলি থেকে বিভিন্ন দিকে রাস্তা চলে গিয়েছে। ওই মোড়ে দাঁড়িয়ে দিক বিভ্রাট হওয়ার আশঙ্কা থাকে পথচারীদের। তাঁদের দাবি, ভিতরে বেশির ভাগ জায়গায় দিক নির্ণয় করার ক্ষেত্রে গেট নম্বর লেখা আছে। যেমন, গেট নম্বর ওয়ান-এ, ওয়ান-বি, ফোর-এ, ফোর-বি গেটে যেতে গেলে সাবওয়ের কোন পথ ধরতে হবে তা তির চিহ্ন দিয়ে লেখাও রয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, কোন গেট নম্বর দিয়ে বেরোলে কোন রাস্তায় ওঠা যাবে, তা সাধারণ মানুষ বুঝবেন কী করে? গোটা সাবওয়ের পথ নির্দেশিকা আরও যুক্তিযুক্ত ভাবে করা উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অভিযোগ, সাবওয়ের সিঁড়িতে ধরার জায়গা বা রেলিং নেই। এক পথচারী বলেন, “ভিআইপি রোডে যে সাবওয়েগুলি তৈরি হয়েছে, তার সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামার জন্য ধরার রেলিং আছে। ফলে বয়স্ক মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হয়। আকাঙ্খা মোড়ের সাবওয়ের সিঁড়িতে তেমনই রেলিং করা উচিত।”

হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “ওই সাবওয়েতে সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়াতে খুব শীঘ্রই পুরো সাবওয়েতে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যাও বাড়ানো হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement