অমসৃণ: উঁচু-নিচু পথে সাবধানী পা । নিজস্ব চিত্র।
কোথাও হাঁটতে হাঁটতে গর্তে পড়ে পা মচকে যায়, কোথাও আবার দু’ পা এগিয়েই ঠোক্কর খেতে হয় পথচারীকে। কারণ উঁচু-নিচু ফুটপাথ। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ফুটপাথে সদ্য পেভার ব্লক বসানোর পরেও হচ্ছে এই সমস্যা। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণের একাধিক রাস্তার ফুটপাথের অবস্থা এমনই বলে অভিযোগ পথচারীদের।
নন্দন ও রবীন্দ্রসদন লাগোয়া এজেসি বসু রোডের ফুটপাথের একাংশ, এসএসকেএম হাসপাতালের সামনের ফুটপাথ, দেশপ্রাণ শাসমল রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, দীর্ঘ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ের বেশ কিছু জায়গায়, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউ-সহ একাধিক রাস্তার ফুটপাথের এই বেহাল দশার কারণ ইঁদুর এমনটাই বলছে কলকাতা পুরসভা।
পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ইঁদুরের দাপটে মাটি সরে যাচ্ছে। এই কারণেই রাস্তার সঙ্গে সঙ্গে অনেক জায়গায় ফুটপাথও বসে গিয়েছে। শহরের একাধিক ফুটপাথে পেভার ব্লক বা টাইলস বসিয়ে সৌন্দর্যায়নের পরেও তাই এই সমস্যা।
পুরসভা সূত্রের খবর, সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীনই কলকাতার সৌন্দর্যায়নের একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ঠিক হয়, প্রতিটি রাস্তার ধারের ফুটপাথগুলিকে একই ভাবে সাজানো হবে। তাই ফুটপাথের কোথাও টাইলস আবার কোথাও পেভার ব্লক বসানো শুরু হয়। পরবর্তী পুর বোর্ডও সে কাজ করে। স্থির হয়, বিশেষ জ্যামিতিক আকারের টাইলস এবং পেভার ব্লক বসিয়ে ফুটপাথ তৈরি হবে। পরবর্তীকালে ফুটপাথগুলির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে পুরসভা কিংবা দরপত্র ডেকে কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের জায়গায় এসে থমকে গিয়েছে কাজ। ফলে যে সব ফুটপাথ বসে গিয়েছে অথবা টাইলস, পেভার ব্লক উঠে গিয়েছে সেগুলি আর মেরামতির চেষ্টা করা হয়নি বলেই অভিযোগ। পুরসভার দাবি, ফুটপাথগুলি সাজাতে টাইলস বা পেভার ব্লক বসানো হয়েছে পদ্ধতি মেনেই। ফুটপাথের মাটি তুলে বালি ফেলে তার
উপরে পেভার ব্লকগুলি বা টাইলস বসানো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা সেখানে নয়। পুর কর্তাদের একাংশের কথায়, মাটির নীচে ইঁদুরের রাজত্ব ধ্বংস না করা হলে কোনও ভাবেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।