দাবি-পথ: বেলগাছিয়া সেতুর উপরে বিক্ষোভ আর জি করের পড়ুয়া-চিকিৎসকদের। বৃহস্পতিবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের ‘লড়াই’ চলছেই। তার মধ্যেই চলছে রোগী পরিষেবা। পড়ুয়া-চিকিৎসকদের বিক্ষোভ, অনশনে অশান্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে রোগীর পরিজনদের সব থেকে বড় প্রশ্ন, পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে?
স্বাস্থ্য দফতরের একাংশেরও প্রশ্ন, “প্রশাসনের শীর্ষস্তর থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না?” যদিও স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, “সন্তানসম পড়ুয়াদের বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হচ্ছে। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি (পিজিটি) ও হাউসস্টাফেরা বিষয়টি বুঝে কাজে যোগ দিয়েছেন। আশা করছি, পড়ুয়া ও ইন্টার্নদেরও শুভবুদ্ধির উদয় হবে।” যদিও দাবিতে অনড় বিক্ষোভরত পড়ুয়া, ইন্টার্নদের কথায়, “যে অধ্যক্ষের জন্য মেন্টর কমিটি গঠন করতে হয়, তাঁকে মেনে নেওয়া কি যুক্তিসঙ্গত? তাই অধ্যক্ষের বদলি বা ইস্তফা দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।” বৃহস্পতিবার বিকেলেও অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বেলগাছিয়া সেতুর ফুটপাতে মানববন্ধন করেন আন্দোলনকারীরা।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ১০০ শতাংশ পিজিটি এবং ৮০ শতাংশ হাউসস্টাফ কাজে ফিরেছেন। কিন্তু এখনও বিক্ষোভে শামিল ইন্টার্নরা। কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, ৯ অক্টোবর তাঁদের বড় অংশ লিখিত ভাবে জানান যে তাঁরা কাজে যোগ দেবেন না। এতে তো পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে? সে কথা মেনে এক ইন্টার্নের কথায়, “অগস্ট থেকে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করছিলেন। তখন আমরা কাজের অবসরে আসছিলাম। কিন্তু অধ্যক্ষের আচরণ মানা যায় না।” তাঁর দাবি, চতুর্থী থেকে তাঁরা বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। পুজোর মরসুমে ছুটি চলছে, তাই অনুপস্থিতির বিষয়টিও সে ভাবে আসছে না।
আর জি করের পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করতে মাসখানেক আগেই নির্দেশ দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন পড়ুয়া-বিক্ষোভের নেপথ্যে হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের ভূমিকা রয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হয়। তার কয়েক দিন পরেই ডেপুটি সুপারকে বদলি করা হয়। তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। পড়ুয়াদের দাবি, “প্রশাসন শুধু বলছে মেনে নাও, অনশন তুলে নাও। তার পরে সমস্যা দেখা হবে। এটা সমাধানের পথ নয়।”