সন্ধ্যা হলেই বন্ধ শৌচাগার, ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের

শৌচাগার থাকলেও সন্ধ্যার পরে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রতি দিন সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রী থেকে পথচলতি অসংখ্য মানুষকে। বিশেষ করে অসুবিধায় পড়েন মহিলারা। ছবিটি শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা ও ডোরিনা ক্রসিং-এর। এক দিকে উন্মুক্ত স্থানে প্রস্রাব করলে পুলিশের ভয়, অন্য দিকে দূষণ ও সংক্রমণের আশঙ্কা।

Advertisement

সুপ্রিয় তরফদার

শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৫ ০০:১৯
Share:

শৌচাগার থাকলেও সন্ধ্যার পরে বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রতি দিন সমস্যায় পড়তে হয় নিত্যযাত্রী থেকে পথচলতি অসংখ্য মানুষকে। বিশেষ করে অসুবিধায় পড়েন মহিলারা। ছবিটি শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা ও ডোরিনা ক্রসিং-এর। এক দিকে উন্মুক্ত স্থানে প্রস্রাব করলে পুলিশের ভয়, অন্য দিকে দূষণ ও সংক্রমণের আশঙ্কা।

Advertisement

ধর্মতলা থেকে শহরের নানা জায়গা ছাড়াও নানা দূরপাল্লার বাস ছাড়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে বহুরাত পর্যন্ত যানবাহন ও মানুষের আনাগোনা থাকে। কিন্তু সন্ধ্যার পরে শৌচাগার বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি হয়।

রাত সাড়ে আটটায় ধর্মতলা চত্বরে গিয়ে দেখা গেল সিটিসি ডিপো ও মেট্রো চ্যানেল চত্বরে চারটি সুলভ শৌচালয় রয়েছে। এগুলি দিনে খোলা থাকলেও সন্ধ্যার পরেই একে একে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখনও ধর্মতলা চত্বর ভিড়ে জমজমাট। ফলে উন্মুক্ত স্থান প্রস্রাব করা ছাড়া উপায় নেই। সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন মহিলারা।

Advertisement

এক যাত্রীর বক্তব্য, ‘‘সন্ধ্যায় যদি ধর্মতলার মতো জায়গায় সুলভ শৌচালয় বন্ধ হয়ে যায় তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন?’’ তিনি জানান, সবাই সুলভ শৌচালয় ব্যবহার না করলেও সেগুলি খোলা রাখা দরকার। আর এক যুবক জানান, রাতের দিকে বাধ্য হয়েই উন্মুক্ত স্থানে প্রস্রাব করতে হয়।

রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ, শহিদ মিনার ও কলকাতা প্রেস ক্লাবের পাশে উন্মুক্ত শৌচালয় রয়েছে। কিন্তু তা সাধারণের ব্যবহারের পক্ষে উপযুক্ত নয়। কারণ, সেগুলি খুবই অপরিষ্কার বলে অভিযোগ নিত্যযাত্রীদের। এখানে প্রস্রাব করলে চর্মরোগ হতে পারে। ইউরোলজিস্ট অমিত ঘোষ বলেন, ‘‘এই ধরনের শৌচাগার থেকে চর্মরোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে।’’

সিটিসি-র অধিকর্তা নীলাঞ্জন শাণ্ডিল্য বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে আমরা আরও একটি সুলভ শৌচালয় তৈরি করছি। তবে যেগুলি ইতিমধ্যেই আছে সেগুলি যে তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায় তা আমার জানা ছিল না। চেষ্টা করছি যতটা বেশি সময় সম্ভব খোলা রাখতে।’’

পিডব্লিউডির এক কর্তাও বলেন, ‘‘ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের কাছে যে সুলভটি রয়েছে সেটিও যেন অন্তত রাত দশটা পর্যন্ত খোলা রাখা যায় তা চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

পুরসভার মেয়র পারিষদ (বস্তি উন্নয়ন ও পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘‘মূলত স্থানাভাবেই পুরসভা ওই অঞ্চলে কোনও সুলভ তৈরি করতে পারেনি। তবে সেখানে যাঁদের সুলভ রয়েছে তাঁদের রাতে খোলা রাখার জন্য বলা হবে।’’

ধর্মতলা চত্বরে সন্ধ্যার পরে এ ভাবেই বন্ধ থাকে সুলভ শৌচালয়। ছবিগুলি তুলেছেন সুমন বল্লভ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement