ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে, আজ, বৃহস্পতিবার যান চলাচল সচল রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি বাস পথে নামানোর পাশাপাশি কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রাজ্য পরিবহণ নিগমের ১২০০টি বাস চালানো হবে। এ ছাড়াও, জেলা শহরগুলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের জন্য দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগমের যে সব বাস চলে, সেগুলি আজ, ধর্মঘটের দিনেও পথে নামবে। সামগ্রিক ভাবে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম প্রায় ৯০০টি বাস চালাবে বলে খবর। সচল থাকবে মেট্রো, ট্রাম, শহরতলির ট্রেন এবং জলপথে ভেসেল পরিষেবা।
কলকাতায় বেসরকারি বাস-মিনিবাস পথে নামাতে গত মঙ্গলবার বিভিন্ন বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিকেরা। রাস্তায় ধর্মঘট সমর্থকদের দাপটে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া রুখতে সকাল থেকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর। ধর্মঘটে কোথাও বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলে সকারের পক্ষ থেকে বিমার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় গোলমাল সামাল দিতে পরিবহণ দফতর বিশেষ টোল ফ্রি নম্বর (৮০০৩৪৫৫২৯২) চালু করেছে। এ ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ৮৯০২০১৭১৯১ নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার বাসমালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে পরিবহণ দফতরের বৈঠকে যোগ দেয়নি জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটস। সংগঠনের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন পরিবহণ আইন এবং পেট্রল-ডিজেলের চড়া মূল্যবৃদ্ধির বিরোধিতা করা হয়েছে। তবে কর্মীরা বাস রাস্তায় নামালে তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাসমালিক সংগঠনগুলি রাস্তায় আজ প্রায় ৩৫০০ বাস নামানোর কথা জানিয়েছে। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী এমনিতেই কম হচ্ছে। তাই সকালের দিকে কিছু বাস নামলেও যাত্রীর অভাবে বেলায় বেসরকারি বাস কমে যেতে পারে বলে জানাচ্ছেন বাসমালিকদের একাংশ। যাত্রী থাকলে, বাস আনুপাতিক হারে চলবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। যদিও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ অটো, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনগুলি সকাল থেকে পরিষেবা সচল রাখার কথা জানিয়েছে। ওই বৈঠকে যোগ দেয়নি বাম ঘনিষ্ঠ পরিবহণ কর্মীদের সংগঠনগুলি।
এআইটিইউসি এবং সিটু প্রভাবিত বিভিন্ন ইউনিয়ন গত দু’দিন ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করেছে। বুধবার এআইটিইউসি-র ট্যাক্সি সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে শিয়ালদহ থেকে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত মিছিল করা হয়। ওই দুই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা আজ পথে নামবেন না বলে জানানো হয়েছে। ফলে রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকারই আশঙ্কা থাকছে।