প্রতীকী ছবি।
যে উড়ানের সরাসরি আসার কথা ছিল কলকাতায়, আচমকাই তা মুম্বই ঘুরে আসছে। ফলে আগে থেকে যাঁরা কলকাতায় নামার কথা সরাসরি জানিয়ে ফর্ম পূরণ করেছিলেন, তাঁরা এখন কী করবেন, বড় হয়ে উঠেছে সেই প্রশ্নই।
প্রশ্নটা উঠছে লন্ডন-কলকাতা সরাসরি উড়ান নিয়ে। এমনই এক যাত্রী অভিরূপ গুহের অভিযোগ, এত যাত্রীকে নিয়ে ছেলেখেলা হচ্ছে। দীর্ঘ বহু দিন লন্ডন থেকে সরাসরি কলকাতার উড়ান চালাতে দেওয়া হয়নি। এ বার যদিও শুরু হল, সঙ্গে সঙ্গে জানানো হল, তা আসবে মুম্বই ঘুরে। এই প্রশ্নও উঠছে, দিল্লি, মুম্বই থেকে সরাসরি লন্ডনের উড়ান চললেও কলকাতা থেকে যাতায়াতের উড়ান নিয়ে কেন আপত্তি হিথরো কর্তৃপক্ষের? এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি উড়ান সংস্থা। তবে এক কর্তার কথায়, ‘‘ওই স্লট ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
কলকাতাগামী যাত্রীদের অনেকেরই যুক্তি, মুম্বই ঘুরে আসার কথা জানলে তাঁরা কোভিড পরীক্ষা করাতেন না। কারণ, বাধ্যতামূলক ভাবে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র থাকার শর্তের কথা শুধু এই রাজ্যই জানিয়েছে। অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে ওই শংসাপত্র ছাড়া এসে কোয়রান্টিনে যেতে হচ্ছে। শুধু কেউ যদি জরুরি কাজের জন্য কোয়রান্টিনে থাকতে না-চান, তাঁকে ওই শংসাপত্র রাখতে হচ্ছে।
আজ, শনিবারের উড়ানে আসার কথা মৈনাক বসুর। তিনি প্রথমে বুধবারের টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু সপ্তাহান্তে কোভিড পরীক্ষার ল্যাব বন্ধ থাকায় সেই উড়ান ধরার আগে শংসাপত্র পেতে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এ বার সেই শংসাপত্র নিয়ে তিনি উড়ান ধরবেন। মৈনাকবাবুর কথায়, ‘‘মনে হচ্ছে অভিবাসনের কাজ কলকাতায় হবে। মুম্বইয়ে সম্ভবত বিমানেই বসে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে কলকাতায় নেমে ওই কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।’’ এয়ার ইন্ডিয়াও জানিয়েছে, অভিবাসনের কাজ হবে কলকাতাতেই।
সব ঠিক থাকলে রবিবার কাকভোরে লন্ডন থেকে যাত্রীদের নিয়ে মুম্বই ঘুরে বিমান পৌঁছবে কলকাতায়। সে দিনই এখান থেকে মুম্বই ঘুরে উড়ে যাবে লন্ডনে। মনে করা হচ্ছে, যে হেতু কলকাতাই চূড়ান্ত গন্তব্য, তাই এখানকার সরকারের শর্ত মেনে কোভিড নেগেটিভ শংসাপত্র রাখতেই হবে।