ফাইল চিত্র
অফিস হোক বা বাজার-শপিং মল, বিধাননগর পুর এলাকায় যাতায়াতের জন্য অটোর উপরেই ভরসা করেন বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ। আনলক পর্বেও প্রতিদিন অসংখ্য নাগরিক অটোতেই যাতায়াত করছেন। ফলে অটোচালক এবং যাত্রীদের সুরক্ষার দিকটি কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে।
বিধাননগরের অটো ইউনিয়নগুলির দাবি, নিয়মিত অটো জীবাণুমুক্ত করা থেকে শুরু করে চালক ও যাত্রীদের সুরক্ষার দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। কিন্তু যে অটোগুলি রুটে অনিয়মিত, সেগুলির বিষয়ে নিশ্চিত নন কেউ।
বাগুইআটি-উল্টোডাঙা রুটের অটো ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, অটো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট লোক রাখা হয়েছে। লাইনে যাত্রীদের দূরত্ব-বিধি মেনে দাঁড় করানো হচ্ছে। অটোয় যাত্রী সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। চালকেরা জীবাণুনাশক, মাস্ক ব্যবহার করছেন। কিন্তু রুটে নিয়মিত নয়, এমন অটোতে এই সব বিধি কতটা মেনে চলা হচ্ছে, তা জানা মুশকিল বলেই দাবি সোমনাথবাবুর।
একই সুরে করুণাময়ী-বেলেঘাটা রুটের ইউনিয়নের এক নেতা জানান, সব বিধি মেনে অটো চলছে। ইউনিয়নের তরফ থেকেও নজর রাখা হচ্ছে বিষয়টির উপরে। যাত্রীরা গাড়িতে ওঠার আগে গাড়ি মুছে নিচ্ছেন অনেক চালক। আবার অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীরাও বসার জায়গা পরিষ্কারের অনুরোধ করছেন।
ইউনিয়নগুলির তরফে নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করার কথা বলা হলেও সল্টলেক-উল্টোডাঙা রুটের এক চালক বলেন, ‘‘যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। মালিককে দিয়ে ক’টাকাই বা থাকে? এমন অবস্থায় রোজ গাড়ি জীবাণুমুক্ত করার খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তবুও যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি।’’
তবে চালকদের নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষা করা বা সুরক্ষার ক্ষেত্রে অন্য কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে যাত্রীরাই প্রশ্ন তুলছেন। কারণ, অটোগুলি দিনের অধিকাংশ সময়েই রাস্তায় থাকে। ফলে চালকদের ঝুঁকি বেশি। অনেক অটোয় চালকের বসার জায়গার পিছনে প্লাস্টিক লাগানো হলেও তা সংক্রমণ রোধে কতটা কার্যকর, তা নিয়েও সন্দিহান যাত্রীরা। বিধাননগরের একটি ইউনিয়নের কর্মকর্তা তথা কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, চালকদের তাপমাত্রা পরীক্ষার কোনও ব্যবস্থা নেই। তবে ইউনিয়নের তরফ থেকে তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে নিয়মিত খেয়াল রাখা হচ্ছে।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ের পরামর্শ, নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবে যাত্রী এবং চালকদের স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে রাখা প্রয়োজন।