বারাসতে এলাকা জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। বুধবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
পুর এলাকায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। তাই করোনা মোকাবিলায় আজ, বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ দিনের আংশিক ও সময়ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল মধ্যমগ্রাম পুরসভা। এর আগে সাত দিনের আংশিক এবং সময়ভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত পুরসভা। এ বার মধ্যমগ্রাম পুরসভা সেই একই পথে হাঁটলেও সেখানে লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ১৪ দিন করা হয়েছে। তবে নিউ ব্যারাকপুর পুরসভায় আপাতত কোনও লকডাউন হচ্ছে না।
বুধবার সর্বদলীয় নেতৃত্ব এবং পুরকর্মীদের নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ। এ দিন তিনি জানান, আজ, বৃহস্পতিবার থেকে গোটা পুর এলাকায় ১৪ দিনের লকডাউন শুরু হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘দুপুর ১টার পরে সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে ৫০ শতাংশ টোটো এবং অটো চলতে পারবে। সে রকম বাজারহাটের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হবে। যদি কারও সমস্যা হয়, তা হলে পুরসভায় যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা করা হবে।’’
তবে বারাসত-মধ্যমগ্রামের মতো লকডাউনে পথে হাঁটছে না নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা। এ দিন ওই পুরসভার চেয়ারপার্সন তৃপ্তি মজুমদার বলেন, ‘‘পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, লকডাউন করা হবে না। আমাদের এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার কমের দিকে। আমরা আগে থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এখানে প্রতিটি অফিস এবং কার্যালয়ে যাতে মানুষ দূরত্ব-বিধি মেনে যাতায়াত ও কাজ করেন, সে দিকে নজর দেওয়া হয়েছে।’’
বারাসত ও মধ্যমগ্রামের যে সমস্ত এলাকায় বহু আবাসন রয়েছে, এ দিন সেখানে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করেন পুর স্বাস্থ্যকর্মীরা। পাশাপাশি, এই দুই এলাকায় পুরসভার কয়েকটি গাড়িতে করে মাইকে লকডাউনের নিয়ম সম্পর্কে প্রচার চালানো হয়।
এ দিকে, ফের এলাকায় কড়া লকডাউন শুরু হবে বলে বুধবার বিকেল থেকে বারাসতের বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। তবে তার পাশাপাশি ছিল কড়া পুলিশি পাহারাও। ফলে মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোনো মানুষের সংখ্যা ছিল নেহাতই হাতে গোনা। এ বিষয়ে বারাসত জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চারদিকে কড়া পুলিশি পাহারা রয়েছে। মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোলে এবং লকডাউন বিধি না মানলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’’