প্রতীকী ছবি।
সিবিএসই-র মতো সিআইএসসিই বোর্ডও অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুক্রবার তারা জানিয়েছে, আইসিএসই এবং আইএসসি-র প্রথম সিমেস্টার হবে সিবিএসই-র মতোই অফলাইনে। অর্থাৎ, স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। নভেম্বর ও ডিসেম্বর জুড়ে হবে দুই বোর্ডের পরীক্ষা। সময় আর বেশি নেই। তাই করোনা পরিস্থিতিতে স্কুলে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
সাউথ পয়েন্ট স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কৃষ্ণ দামানি বললেন, “অফলাইনে পরীক্ষা কী ভাবে নেওয়া হবে, তার একটা রূপরেখা তৈরি হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন যে সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী স্কুলে আসবেন, তাঁদের প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ় নেওয়া থাকতে হবে। কোভিড-বিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হবে।”
মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লসের ডিরেক্টর দেবী করের মতে, “কিছু পড়ুয়া অনলাইনে পরীক্ষা দিল, কিছু পড়ুয়া অফলাইনে দিল, এ রকম হওয়ার চেয়ে সকলেই অফলাইনে পরীক্ষা দিক। এই সিদ্ধান্ত অনেক ভাল। কিন্তু এ রাজ্যে এখনও স্কুল খোলেনি। পরীক্ষার আগে স্কুল খুলবে কি না, সেটাও দেখতে হবে।”
শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলের অধ্যক্ষেরা জানিয়েছেন, প্রত্যন্ত এলাকাতেও রয়েছে সিআইএসসিই বোর্ডের স্কুল। সেখানে অনলাইন পরীক্ষা চলাকালীন নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে কী হবে? পরীক্ষা চলাকালীন লোডশেডিং হয়ে গেলেই বা কী করবে পরীক্ষার্থীরা? অধ্যক্ষদের মতে, স্কুলের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া গেলেও সর্বভারতীয় বোর্ডের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া কার্যত সম্ভব নয়। ন্যাশনাল হাইস্কুলের অধ্যক্ষা মৌসুমী সাহার মতে, “আর একটি সর্বভারতীয় বোর্ড সিবিএসই যখন অফলাইনে পরীক্ষা নিচ্ছে, সিআইএসসিই-রও উচিত অফলাইনেই পরীক্ষা নেওয়া। একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হলে মূল্যায়ন নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে অভিযোগ থাকবে না।” ডন বস্কোর (পার্ক সার্কাস) অধ্যক্ষ, ফাদার বিকাশ মণ্ডল বললেন, “আমাদের স্কুলে বড় হলঘর রয়েছে। কোভিড-বিধি মেনে সেখানেই পরীক্ষা হবে।”
অভিভাবকদের একটি অংশ অনলাইনের কথা বললেও অধিকাংশই মনে করছেন, অফলাইনে পরীক্ষার সিদ্ধান্তটাই ভাল। এক আইসিএসই পরীক্ষার্থীর মা মধুমিতা রঞ্জন বললেন, “অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে নেটওয়ার্কের সমস্যা হলে তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অনেকটা সময় নষ্ট হবে। বোর্ডের পরীক্ষায় প্রতিটি মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোভিড-বিধি মেনে অফলাইনে পরীক্ষাই ভাল।”