বাইরে তখন অভিভাবকদের বিক্ষোভ। মঙ্গলবার, পাম অ্যাভিনিউয়ের একটি স্কুলে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
অভিভাবকদের বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবারও পঠনপাঠন ব্যাহত হল রানিকুঠিতে আইসিএসই বোর্ডের অনুমোদনপ্রাপ্ত স্কুলে। আজ, বুধবারও স্কুল থেকে বাস বেরোতে দেওয়া হবে না এবং কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলবে বলে জানান ক্ষুব্ধ অভিভাবকেরা। স্কুল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মাত্র ৪০ শতাংশ পড়ুয়া হাজির ছিল।
একটি অনুষ্ঠানের মহড়ায় গিয়ে চার বছরের এক পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে এই স্কুলে। সোম ও মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও তোলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিভাবকদের একটি বৈঠক হয়। এর পরে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের তরফে জানানো হয়, পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য একটি কমিটি গড়া হচ্ছে। দুপুরে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে দশ মিনিট পথ অবরোধও করেন অভিভাবকেরা।
এ দিকে, অবিলম্বে স্কুলে সুস্থ পরিবেশ ফেরাতে আবেদন জানানো হয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ ও প্রাক্তনীদের তরফে। কিন্তু ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের তরফে সেই আবেদনে কোনও সাড়া দেওয়ার ইঙ্গিত মেলেনি।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে এ দিন পাম অ্যাভিনিউয়ে একই গোষ্ঠীর একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকার ঘরের সামনেও চলে বিক্ষোভ। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে সব দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন অভিভাবকেরা। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, আগামী তিন দিন কোনও অভিভাবক পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাবেন না।
এ দিন স্কুলের তরফে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর মুখপাত্র সুশান্ত মহান্তি বলেন, ‘‘যা ঘটেছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক জনকে সাসপেন্ড করেছি। তাঁর সম্পর্কে সব তথ্য পুলিশকে দিয়েছি। নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী তিন দিন আমাদের সব স্কুল খোলা থাকছে।”