ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস এবং প্যানিক বাটন বসানো বাধ্যতামূলক করে গত নভেম্বরে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। ফাইল চিত্র।
গণপরিবহণে যাত্রীদের সুরক্ষায় ভেহিক্ল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস এবং প্যানিক বাটন বসানো বাধ্যতামূলক করে গত নভেম্বরে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশিকা পালনের সময় বলতে হাতে রয়েছে শুধু মার্চ মাস। অথচ অধিকাংশ বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব, স্কুলবাস এবং গাড়িতে এখনও ওই যন্ত্র বসানো যায়নি।
মাসকয়েক আগে আলিপুর থেকে এই বিশেষ ব্যবস্থার সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন ওই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য নির্দিষ্ট কন্ট্রোল রুমও চালু করা হয়েছিল। বেসরকারি, বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি, অ্যাপ-ক্যাব সংগঠন সূত্রের খবর, বিশেষ ওই যন্ত্রের চড়া দামের কারণে কেউই সেটি বসানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে চাইছেন না। অথচ ওই যন্ত্র ছাড়া গাড়ির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শংসাপত্র (সার্টিফিকেট অব ফিটনেস) মিলবে না, পরিবহণ দফতর সে কথা জানিয়ে দিয়েছে আগেই। তবুও যন্ত্রের দাম নিয়ে বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলির সঙ্গে পরিবহণ দফতরের টানাপড়েন অব্যাহত।
সরকারের ওই নির্দেশিকায় যে ১২টি ‘পরীক্ষিত এবং সরকার স্বীকৃত’ সংস্থার কাছ থেকে ওই যন্ত্র কেনার কথা বলা হয়েছে, তাদের দাম নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বেশির ভাগ পরিবহণ সংগঠনের। সংগঠনগুলির অভিযোগ, বাজারে ওই যন্ত্র যেখানে চার-পাঁচ হাজার টাকায় মিলছে, সেখানে সরকার নির্ধারিত সংস্থাগুলি সেই একই যন্ত্রের দাম ১২-১৩ হাজার টাকা দাবি করছে। বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব সংগঠনের তরফে চিঠি দিয়ে সরকারকে সে কথা জানানোও হয়েছে। কিন্তু সংগঠনগুলির দাবি, সরকারের তরফে যন্ত্রের উৎপাদক সংস্থার সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হলেও এখনও পর্যন্ত তা হয়নি।
এই অবস্থায় সমস্যার সমাধান খুঁজতে আজ, শুক্রবার কসবায় পরিবহণ ভবনে সব ক’টি পরিবহণ সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফতরের আধিকারিকেরা বৈঠক করবেন। যন্ত্র বসানোর সময়সীমা পিছনো হতে পারে বলে খবর। তবে বেশির ভাগ পরিবহণ সংগঠনই যন্ত্রের দাম কমানোর দাবিতে অনড়।