রুদ্ধদ্বার: সরকারি ছাড়পত্র মিললেও খোলেনি ধর্মতলা চত্বরের এই সিনেমা হল। সোমবার। নিজস্ব চিত্র।
সরকারি ছাড়পত্র এসে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। তবে তার পরেও খোলেনি শহরের বিভিন্ন সিনেমা হলের দরজা। কোনও হলের কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, হল জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। কেউ বলছেন, সফটওয়্যার আপডেট করা হয়ে গেলেই খুলে দেওয়া হবে সিনেমা হল। কোনও কোনও সিনেমা হলের কর্তারা আবার কবে হল খোলা হবে, সেই সিদ্ধান্তই এখনও নিতে পারেননি। তবে আইনক্সের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাঁদের বেশ কয়েকটি হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটা প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে কর্তৃপক্ষের মনে। তা হল, সিনেমা হল খুললেও আগের মতো দর্শক আসবেন তো?
গত মাসের ২৯ তারিখ নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, ৩১ জুলাই থেকে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক নিয়ে খুলতে পারবে সিনেমা হল। তবে মেনে চলতে হবে কোভিড-বিধি। কিন্তু নির্দিষ্ট দিন পেরিয়ে গেলেও শহরের সব সিনেমা হল বন্ধ। কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় অধিকাংশ সিনেমা হলে পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন হলে স্ক্রিন থেকে শুরু করে বাতানুকুল যন্ত্র— নতুন করে পরীক্ষা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া, পর্যাপ্ত কর্মীকে আনতে না পারার সমস্যা তো আছেই।
তবে আইনক্সের কর্তারা জানালেন, বৃহস্পতিবার থেকে হলিউডের একটি সিনেমা দিয়ে আপাতত কোয়েস্ট, মেট্রো, স্বভূমি, সল্টলেক সিটি সেন্টার, লিলুয়া ও মধ্যমগ্রাম আইনক্সের দরজা খুলছে। সংস্থার পূর্বাঞ্চলের ডিরেক্টর অমিতাভ গুহঠাকুরতা বলেন, ‘‘এত দিন বন্ধ থাকার পরে হল খোলার আগে পরিকাঠামোগত বিভিন্ন দিক পরীক্ষা করার ব্যাপার থাকে। আপাতত এই ছ’টি জায়গায় সিনেমা হল খোলা হচ্ছে। বাকিগুলিতে কাজ চলছে।’’
তবে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলগুলি খোলা নিয়ে আশার আলো দেখাতে পারছেন না কেউই। ‘ইম্পা’র অন্তর্গত সিনেমা হল মালিকদের সংগঠনের চেয়ারম্যান রতন সাহা বললেন, ‘‘আমরা প্রত্যেকেই সিনেমা হল খুলতে রাজি। কিন্তু এত অল্প সময়ের নোটিসে তা সম্ভব নয়। হলের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় থাকেন। সংগঠনের তরফে বুধবার সভা ডাকা হয়েছে।’’ কিন্তু নতুন সিনেমা না পেলে কি পুরনো সিনেমা দিয়েই খুলে দেওয়া হবে হল? রতনবাবু বলেন ‘‘কোথাওই পুরনো সিনেমা দেখানো হবে না।’’
বসুশ্রীর অন্যতম কর্ণধার সৌরভ বসু বললেন, ‘‘আমরা এই সপ্তাহেই হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপাতত হল জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে।’’ দক্ষিণ কলকাতার আর একটি সিনেমা হলের এক কর্তা বললেন, ‘‘কবে হল খোলা হবে, এখনই বলা সম্ভব নয়। বলিউড ও টলিউডের নতুন সিনেমা কবে মুক্তি পাচ্ছে, তার উপরে সেই সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে। তবে আগের মতো দর্শক পাব কি না, সেই চিন্তাও থাকছে।’’