প্রতীকী ছবি।
২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে খিদিরপুরে গাড়ি উল্টে জখম হলেন ১৫ জন তৃণমূল সমর্থক। আহতদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি থেকে পঞ্চাশ জনেরও বেশি তৃণমূল সমর্থক একটি গাড়িতে করে ধর্মতলার দিকে যাচ্ছিলেন। এ দিন সকাল দশটা নাগাদ গাড়িটি দক্ষিণ বন্দর থানার রিমাউন্ট রোড এবং কোল বার্থ রোডের মোড়ে বাঁক নিতেই সামনে একটি মোটরবাইক এসে পড়ে। স্থানীয় সূত্রের খবর, গাড়ির গতি বেশি থাকায় মোটরবাইককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় সেটি। গাড়ির ভিতরে আটকে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন। তাঁদের উদ্ধার করতে আশপাশ থেকে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ ও ট্র্যাফিক পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। গাড়ির এক যাত্রী নাজিবুল মোল্লা বলেন, ‘‘হঠাৎ গাড়িটি বাঁক নিতেই জোরে ব্রেক কষার সঙ্গে সঙ্গে উল্টে যায়। তার পরে আমার জ্ঞান ছিল না। যখন জ্ঞান ফেরে, তখন হাসপাতালে।’’ গাড়িতে ছিল ১২ বছরের কিশোর তোফাজ্জল মীর। তোফাজ্জলের কথায়, ‘‘সবাই ভয়ে চিৎকার করতে থাকি। আশপাশ থেকে লোক এসে দরজা ভেঙে আমাদের বার করেন।’’ বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন আরও এক আহত সুলতান নস্কর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গাড়িটির গতি যথেষ্ট বেশি ছিল। ওই রকম গাড়িতে যেখানে ২০ জন যাত্রী থাকার কথা, এ দিন সেখানে ৫০ জন ছিলেন। তাঁদের দাবি, ওই গাড়ির ছাদেও যাত্রী ছিলেন। একাধিক নিয়ম ভাঙা সত্ত্বেও গাড়িচালকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ। আটক করা হয়নি গাড়িটিকেও। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি গাড়িতে শাসকদলের সভায় যোগ দিতে যাওয়া তৃণমূল সমর্থকেরা থাকায় চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না? পুলিশ অবশ্য এ প্রসঙ্গে কিছু বলতে চায়নি। দক্ষিণ বন্দর থানায় যোগাযোগ করা হলে এক আধিকারিকের যুক্তি, ‘‘গাড়িটি বাঁক নিতে গিয়ে উল্টে গিয়েছে। এ ক্ষেত্রে চালকের কোনও দোষ নেই।’’