Jadavpur University

তিন দায়িত্ব নতুন অস্থায়ী রেজিস্ট্রারের, যাদবপুরে বাড়ছে শূন্য পদের সঙ্কট

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফাঁকা ফিন্যান্স অফিসারের পদ। এ বার শূন্য হতে চলেছে স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদও। ছবিটা দেশের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৭
Share:

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

উপাচার্য অন্তর্বর্তিকালীন। সহ-উপাচার্যের দু’টি পদের মধ্যে একটি শূন্য। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ফাঁকা ফিন্যান্স অফিসারের পদ। এ বার শূন্য হতে চলেছে স্থায়ী রেজিস্ট্রারের পদও। ছবিটা দেশের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের।

Advertisement

এ ক্ষেত্রে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়েরপরিস্থিতি একই। উপাচার্য পদ থেকে গত বছর মে মাসে সুরঞ্জন দাস অবসর নেওয়ার পরে এখনওস্থায়ী উপাচার্য পায়নি তারা। ৩০ নভেম্বর কাজের মেয়াদ ফুরোচ্ছে বর্তমান রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর। এর পরে ওই দায়িত্ব সামলাবেন ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন কলা বিভাগের সচিব।সেই সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের সচিবের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এই দুই দায়িত্বের সঙ্গে ইন্দ্রজিৎঅতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে রেজিস্ট্রারের পদে কাজ করবেন। তাঁকে আগামী ছ’মাস অথবা নতুন স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ— যেটি আগে হবে, তত দিন পর্যন্ত কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। নিয়ম অনুযায়ী, এর পরে স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে অবসরনিয়েছেন ফিন্যান্স অফিসার। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী ফিন্যান্স অফিসার পায়নি যাদবপুর। দায়িত্ব চালিয়ে যাচ্ছেন যুগ্ম ফিন্যান্স অফিসার। সূত্রের খবর, স্থায়ী ফিন্যান্স অফিসার পদ পূরণের জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও এখনও কাউকে নেওয়া হয়নি।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বৃহস্পতিবার বললেন, ‘‘শুধু আধিকারিকদের ক্ষেত্রে নয়, তার সঙ্গে স্থায়ী শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর সংখ্যাও এত কমেআসছে। এমন সমস্যা চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালানোই কিছু দিন পরে অসম্ভব হয়ে উঠবে বলে মনে হচ্ছে।’’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন রাজীববন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন পরিস্থিতিতে সত্যিই অসুবিধা হচ্ছে। তবে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানও একই সমস্যায় ভুগছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement