জাতীয় পরিবেশ আদালত।—ফাইল চিত্র।
রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে একটিই কমিটি থাকবে। এমনই জানাল জাতীয় পরিবেশ আদালত। রাজ্যের মুখ্যসচিবের নির্দেশাধীন সেই কমিটিই সরোবরের সব বিষয় দেখভাল করবে। এমনকি, সরোবর নিয়ে পরিবেশ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা মানা হচ্ছে কি না, তা-ও দেখা ওই কমিটিরই দায়িত্ব বলেছে আদালত।
আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন কয়েক জন পরিবেশকর্মী। তাঁদের বক্তব্য, সরোবরের নিয়ম ভাঙার অভিযোগ সরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। এ বার যদি সরকারি হাতেই সরোবরের নিয়ন্ত্রণ যায়, তা হলে পরিবেশ দূষণ যে হবে না, তার নিশ্চয়তা কোথায়?
অতীতে সরোবর নিয়ে একটি ‘মনিটরিং কমিটি’ তৈরি করেছিল হাইকোর্ট। পরে আরও দু’টি কমিটি তৈরি করে পরিবেশ আদালত। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘‘রবীন্দ্র সরোবরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। সেখানে একাধিক কমিটি থাকাটা বিভ্রান্তিকর।’’ তারই ভিত্তিতে একাধিক কমিটির পরিবর্তে একটিই কমিটি রাখার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানান কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) আইনজীবী পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই ভিত্তিতেই পরিবেশ আদালত জানায়, তাদের তরফে তৈরি কমিটির সদস্য হলেন মুখ্যসচিব, পরিবেশ দফতরের কর্তা, কেএমডিএ-র সিইও, কলকাতার পুলিশ কমিশনার ও ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট। সেই কমিটিই একমাত্র সরোবর দেখভালে নজর রাখবে। এমনকি, হাইকোর্ট গঠিত কমিটির মতও গ্রাহ্য হবে না। যার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গঠিত কমিটির সদস্য পরিবেশকর্মী সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকারের কাজ সরকারই দেখভাল করবে? এই নির্দেশের বিরুদ্ধে লড়ব।’’