Haridevpur

Electrocution: মৃত্যুর দায় কার, এক বছরেও মিলল না জবাব

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছরের ১১ মে কলকাতা হাই কোর্টের দিক থেকে মোটরবাইকে ধর্মতলার দিকে আসছিলেন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ঋষভ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ০৬:১০
Share:

হরিদেবপুরের মৃত বালক। — ফাইল চিত্র।

ঠিক এক বছর আগে, ঝড়বৃষ্টির এক সন্ধ্যায় রাজভবনের সামনে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ঋষভ মণ্ডল নামে এক যুবকের। ওই ঘটনায় পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর মামলা রুজু করেছিল। কিন্তু কার গাফিলতিতে ফরাক্কার বাসিন্দা যুবকের মৃত্যু হল, তা জানা গেল না বছর ঘুরে গেলেও।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত বছরের ১১ মে কলকাতা হাই কোর্টের দিক থেকে মোটরবাইকে ধর্মতলার দিকে আসছিলেন তরুণ ইঞ্জিনিয়ার ঋষভ। রাজভবনের সামনে জমা জলে তিনি পড়ে যান। যেখানে ঋষভ পড়ে গিয়েছিলেন, তার সামনেই ছিল একটি বিদ্যুতের খুঁটি। সেটির গোড়ায় খোলা অবস্থায় ছিল তার। তাতেই তড়িদাহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ওই যুবক।

প্রাথমিক ভাবে তদন্ত চালিয়ে বেশ কিছু গাফিলতি পায় পুলিশ। জানা যায়, বাতিস্তম্ভের নীচে যে বক্স রয়েছে, সেখান থেকে বিদ্যুৎ হুকিং করা হয়েছিল। সেই তারই পড়ে ছিল জমা জলে। ওই ঘটনার পরে কলকাতা পুরসভার তরফেও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় পুলিশের কাছে। তার পরেই হেয়ার স্ট্রিট থানা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বিদ্যুতের খুঁটি পুরসভার বলে উঠে এসেছিল তদন্তে। সেখানে কী ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ এল, জানতে চেয়ে সিইএসসি-কে চিঠি দেয় পুলিশ। ওই সংস্থাও পুলিশকে উত্তর দেয়। কিন্তু অভিযোগ, জলে কী ভাবে বিদ্যুৎ এল কিংবা কার গাফিলতি ছিল, সিইএসসি-র উত্তর থেকে তা জানা যায়নি।

পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরও বিভিন্ন সংস্থার কাছে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেই সব তথ্য এলেই স্পষ্ট হবে, ঘটনার পিছনে কার বা কাদের গাফিলতি ছিল। পুলিশকর্তাদের আশা, শীঘ্রই এই তথ্যগুলি সামনে আসবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement