জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকায় মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আব্দুল রকিব কুরেশি। নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে হাওড়ার ২ যুবককে গ্রেফতার করার পর আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হল। ধৃতের নাম আব্দুল রকিব কুরেশি। ৩৩ বছর বয়সি আব্দুলকে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া থেকে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, আব্দুলের কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি পেন ড্রাইভ এবং অন্যান্য এমন কিছু জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে যা, জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে তাঁর যোগসূত্র প্রমাণ করে। আব্দুলের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নেওয়ার কথাবার্তা চলছিল সাদ্দামের। আব্দুল এর আগেও এমন ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সিমির প্রাক্তন সদস্য ছিলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশ থেকে তাঁকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কলকাতা নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) সূত্রে জানা গিয়েছে যে, হাওড়া থানার আফতাবউদ্দিন মুন্সি লেনের বাসিন্দা মহম্মদ সাদ্দাম এবং শিবপুর থানা এলাকার গোলাম হোসেন লেনের বাসিন্দা সঈদ আহমেদকে শুক্রবার খিদিরপুর এলাকা থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল এবং বেশ কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা। এসটিএফ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে ওই দুই যুবকের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন তদন্তকারীরা। তাই দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে এসটিএফ। সোমবার ধৃতদের এসটিএফ দফতরে বসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
তদন্তকারীদের দাবি, জঙ্গি সংগঠন আইএস (ইসলামিক স্টেট)-এর হয়ে শপথ নিয়েছিলেন ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া ডায়েরি ঘেঁটে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। ডায়েরিতে সমস্ত লেখা আরবি ভাষায়। সেখানে এক জায়গায় সাদ্দাম লিখেছেন, ‘‘আইএসের প্রতি আমার আনুগত্য বজায় থাকবে।’’ লিখেছিলেন, সংগঠনের হয়ে কাজ করবেন তিনি। তদন্তকারীরা অনুমান করেছিলেন, ওই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন আরও এক জন। তাঁর সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পাওয়ার পর ভিন্ রাজ্যে গিয়েছিল এসটিএফের একটি দল। সেই সূত্রে মধ্যপ্রদেশ থেকে আব্দুলকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ।