গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
যে বাড়িতে বেহালার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, তার মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই নিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ। সঞ্জয় মির্ধা নামে ওই বাড়িমালিক গোটা বিষয়টি জানতেন বলে দাবি পুলিশের। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে শনিবার গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় দ্রুত চার্জশিটও দিতে চাইছে পুলিশ। সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পরিকল্পনামাফিক ওই কিশোরীকে একবালপুর এলাকার ভূ-কৈলাস রোডের বাড়িতে ডেকে যৌন নির্যাতন করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে।ঘটনায় চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ওই চার জনের মধ্যে এক যুবক কিশোরীর খুবই পরিচিত। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের কথাতেই ছাত্রীটি একবালপুরে গিয়েছিল। অভিযোগ, কিশোরী যাওয়ার আগে থেকেই দুই যুবক মত্ত অবস্থায় ছিল। সে পৌঁছতে তাকেও জোর করে মদ খাওয়ানো হয় বলে অভিযোগ। যে বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে, তার মালিক ওই সঞ্জয় মির্ধা।
ওই রাতে মেয়ে বাড়ি ফিরছে না দেখে, পর্ণশ্রী থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করে তার পরিবার। শুক্রবার সকালে ওই কিশোরী পর্ণশ্রী থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়।পুলিশ একটি ‘জিরো’ এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার বিকেলে পর্ণশ্রী, একবালপুর এবং দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশকে নিয়ে তৈরি হয় যৌথ তদন্তকারী দল। গ্রেফতার করা হয় চার অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: সাতসকালে রিকশা চালিয়ে কোথায় গেলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
আরও পড়ুন: বয়স নয়, ঋতুমতী হলেই বিয়ের যোগ্য, বিতর্কিত মন্তব্য পাক আদালতের
পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেসেন্স) আইনে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার অভিযুক্তের মধ্যে অমরজিৎ চৌপাল এবং মনোজ শর্মা পর্ণশ্রী এলাকার বাসিন্দা। বাকি দু’জন বিকাশ মল্লিক এবং ঋত্বিক রাম একবালপুরের। এ দিন তাদের আলিপুর পকসো আদালতে তোলা হলে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, অমরদীপ এবং মনোজের বাড়ি কিশোরীর স্কুলের কাছে। সেই সূত্রেই কিশোরীর সঙ্গে তাদের আলাপ। সেই আলাপের সূত্র ধরেই কিশোরী একবালপুর এলাকায় গিয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ধৃতরা। ওই যুবকদের বিরুদ্ধে এর আগেও নানা অভিযোগ উঠেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।