ভাঙচুর: জনতার রোষের মুখে ট্রাকটি। শনিবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য
স্ট্যান্ডে পরপর দাঁড়িয়েছিল অটোগুলি। পিছন থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি মিনি ট্রাক বেমক্কা ধাক্কা মারলে অটোগুলির প্রত্যেকটি তার সামনের অটোরিকশাকে ধাক্কা মারে। ওই ঘটনায় দুই অটোচালকের জখম হওয়াকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেলে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগুইআটির নারায়ণতলা চত্বর। রাতে আরজি কর হাসপাতালে তরুণ সেনাপতি (৩৫) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, ক্ষিপ্ত জনতা ওই মিনি ট্রাকের টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়। অবরোধ হয় ভিআইপি রোড। ট্রাকচালক ধর্মেন্দ্র রায়কে নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। ক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে পুলিশ মিনি ট্রাকটির চালককে উদ্ধার করতে গেলে অটোচালকদের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি হয়।
ওই ঘটনায় চার অটোরিকশা চালককে আটক করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনার জন্য আটক করা হয়েছে মিনি ট্রাকচালককেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকের চালক ধর্মেন্দ্র রায়ের দাবি, ব্রেক ফেল হওয়ার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অটোচালকদের বক্তব্য, নারায়ণতলার কাছে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। কারণ, বহু গাড়িই সিগন্যাল মানে না। পুলিশও নিষ্ক্রিয় থাকে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময়ে স্ট্যান্ডে পরপর বেশ কয়েকটি অটো দাঁড়িয়েছিল। তখনই পিছন থেকে তীব্র গতিতে মিনি ট্রাকটি লাইনের শেষ অটোটিতে ধাক্কা মারে। মিনি ট্রাকটি ঠিক তার সামনে থাকা অটোটিকে ৫০ মিটারেরও বেশি রাস্তা হিঁচড়ে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, রাস্তায় ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান অটোচালক সুমন রায়। তিনি হাসপাতালে ভর্তি। আরও এক অটোচালক তরুণের অবস্থাও ছিল আশঙ্কাজনক। তাঁকে আরজিকরে ভর্তি করা হয়েছিল। রাতে তিনি মারা যান। পুলিশ জানিয়েছে, মিনি ট্রাকটি কেষ্টপুর থেকে কলকাতা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।