Coronavirus

একশো শতাংশ হাজিরা নয় পুরসভায়

বর্তমান পরিস্থিতিতে ১০০ শতাংশ কর্মীর পরিবর্তে এক দিন অন্তর ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকবেন। যাঁরা অফিসে কাজ করেন তাঁরা ছাড়াও যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিষেবামূলক কাজ করছেন তাঁরাও এই পদ্ধতিতে কাজ করবেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০২:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি

লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই মাসখানেক আগে কলকাতা পুরসভার কর্তৃপক্ষ কর্মীদের ১০০ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশিকা জারি করেছিলেন। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, পরিষেবা দেওয়ার জন্য পুরসভার বিভিন্ন দফতরে পুরো হাজিরার প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরসভার বিভিন্ন দফতরে করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুর কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুরনো সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন। আজ, মঙ্গলবার থেকে নতুন নিয়মে কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে।

Advertisement

বর্তমান পরিস্থিতিতে ১০০ শতাংশ কর্মীর পরিবর্তে এক দিন অন্তর ৫০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকবেন। যাঁরা অফিসে কাজ করেন তাঁরা ছাড়াও যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী বাড়ি বাড়ি ঘুরে পরিষেবামূলক কাজ করছেন তাঁরাও এই পদ্ধতিতে কাজ করবেন। কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আজ, মঙ্গলবার থেকেই পুরনো নিয়মের পরিবর্তে ৫০ শতাংশ কর্মী এক দিন অন্তর কাজ করবেন। এই কাজের জন্য নতুন রস্টার করা হবে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, পুরসভার সদর দফতরে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় কর্মীদের একাংশ ১০০ শতাংশ হাজিরায় আপত্তি জানান। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, গত মাসে রাজ্য সরকার যেখানে ৭০ শতাংশ হাজিরার কথা বলেছিল এবং বর্তমানে অন্যান্য সরকারি অফিসে যখন উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ, তখন পুরকর্মীদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য কেন?

Advertisement

এ দিনও কলকাতা পুরসভার সচিবের দফতরে তিন জন এবং পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের অফিসেও এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে পুর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসা করাতে এসে আক্রান্ত, উদ্বেগ রাজারহাটে

শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র বিভাগের এক কর্মী করোনায় মারা যাওয়ার পরেই পুর কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুরনো সিদ্ধান্ত বদল করেন। বামফ্রন্ট পরিচালিত কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ক্লার্কস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য বলেন, “আমরা আগেই পুরনো নির্দেশিকা পরিবর্তন করতে বলেছিলাম। তাঁরা শুনেছেন।”

ক্যালকাটা কর্পোরেশন জেনারেল সার্ভিস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদর্শ সিংহ জানান, সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুর কর্তৃপক্ষের কাছে কর্মীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement