সন্তোষ গুপ্ত
বন্ধুকে বাড়িতে ছেড়ে অটো চালিয়ে ফিরছিলেন এক যুবক। কসবা রাজডাঙা মেন রোডে একটি শপিং মলের কাছে বাড়ি ঢোকার কিছুটা আগেই অটোটি উল্টে মৃত্যু হল চালক সন্তোষ গুপ্ত (৩০) নামে সেই চালকের।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে বেপরোয়া গতিতে চলছিল অটোটি। সামনে একটি গাড়ি এসে পড়ায় হঠাৎ বাঁক নিতে গিয়ে ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মেরে অটোটি উল্টো যায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কসবার রাজডাঙার নবপল্লির বাসিন্দা সন্তোষ কসবা-গড়িয়াহাট রুটের অটো চালাতেন। বুধবার রাত ন’টা নাগাদ কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। এর পরেই এক বন্ধু তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি আসেন। তাঁকেই পৌঁছতে আবার বেরোন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কসবা এলাকার বাসিন্দা তাঁর বন্ধুকে বাড়ি থেকে নামিয়ে অটো চালিয়ে ফিরছিলেন সন্তোষ। সে সময়ে অটোতে আর কেউ ছিলেন না। রাজডাঙা মেন রোডে একটি শপিং মলের মোড়ে বেপরোয়া গতিতে চলা অটোটি সজোরে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে দেখতে পায়, অটোটির সামনের অংশ পুরোপুরি তুবড়ে গিয়েছে। সন্তোষের মাথা ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্তোষের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর স্ত্রী রাখী গুপ্ত মাঝেমধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন। তাঁর মাথায় জল ঢালছেন স্থানীয়েরা। বাবাকে না পেয়ে কেঁদে চলেছে একরত্তি মেয়ে শ্রুতি। প্রতিবেশীরাই শ্রুতিকে কোলে কান্না থামানোর চেষ্টা করছেন। স্ত্রী, এক মেয়েকে নিয়ে রাজডাঙার নবপল্লির ওই টালির ঘরেই সংসার ছিল সন্তোষের। ওড়নায় চোখ মুছতে মুছতে এ দিন রাখী বলেন, ‘‘ওই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল। এ বার আমি মেয়েকে নিয়ে কী ভাবেই বা বাঁচব?’’