ধৃত তফাজ্জুল ইসলাম। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে একটি কল সেন্টারে ঢুকে ডাকাতি করে চম্পট দিল একদল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানা এলাকার ব্রাইট স্ট্রিটে। এই ঘটনায় এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি চার জনের খোঁজ চলছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতি করেই ক্ষান্ত থাকেনি দুষ্কৃতীরা। আশানুরূপ লুটের মাল না-পেয়ে তারা কল সেন্টারের এক কর্মীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁকে অপহরণ করে গাড়িতে তোলে। কিছুটা দূরে একটি এটিএমে নিয়ে গিয়ে তাঁরই এটিএম কার্ড থেকে দশ হাজার টাকা তুলে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাতেই ধরা হয় ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তফাজ্জুল ইসলাম ওরফে ভুট্টোকে।
তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০১৫ সালে লালবাজারের ‘ওয়াচ সেকশন’-এর হাতে ধরা পড়েছিল ভুট্টো। সে বার আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে তোলা আদায়ের অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোরে একটি গাড়িতে চেপে জনা পাঁচেক দুষ্কৃতী ব্রাইট স্ট্রিটের ওই কল সেন্টারে আসে। ঢুকেই তারা পিস্তল নিয়ে কর্মীদের ভয় দেখায় এবং মারধর করে। তাঁদের হুমকি দিয়ে যাঁর কাছে যা টাকা-পয়সা আছে দিয়ে দিতে বলে। কয়েক জনের মোবাইলও কেড়ে নেয়। মহম্মদ ইরশাদ নামে কল সেন্টারের এক কর্মী জানান, তিনি বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা পিস্তলের বাট দিয়ে তাঁকে মারধর করে।
এর পরে টাকাপয়সা না-পেয়ে ডাকাতেরা ইরশাদকে অপহরণ করে গাড়িতে তুলে কাছেই একটি এটিএমে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁরই এটিএম কার্ড ব্যবহার করে ১০ হাজার টাকা তুলে গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। ইরশাদের বয়ান এবং সিসি ক্যামেরার সূত্র ধরে রাতেই ভুট্টোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘ডাকাতি, অপহরণ, ডাকাতির উদ্দেশ্যে আহত করা এবং সরকারি কর্মী না-হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে পুলিশ বলে পরিচয় দেওয়া— এই চার ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’