সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে পানশালায় গোলমালের পিছনে পূর্ব পরিকল্পনা ছিল বলেই অনুমান পুলিশের। যদিও তাতে পুলিশের নজরদারির ব্যর্থতা ঢাকা পড়ছে না। বরং সল্টলেকের পাশাপাশি বাগুইআটি থেকে নিউ টাউনে পানশালাগুলির একাংশও নিয়ম ভাঙছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম, ইমতিয়াজ আলি।
রাতে পানশালা কেন চালু ছিল সে বিষয়ে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বিধাননগর পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। আবগারি দফতরের কাছেও তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, ছক কষেই গোলমাল পাকিয়েছে অভিযুক্তেরা। মঙ্গলবার আদালতে পুলিশ পানশালার গোলমালে খুনের চেষ্টা, যড়যন্ত্রের মতো একাধিক ধারা যুক্ত করার জন্য আবেদন করেছে।
সোমবার রাতে পাঁচ নম্বর সেক্টরের একটি বহুতল থেকে বেনিয়াপুকুরের বাসিন্দা ইমতিয়াজকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই রাতে জোহেবকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সল্টলেকের পানশালায়। ধৃত ইমতিয়াজরা মোট ৬ জন ওই পানশালায় গিয়েছিলেন। জোহেবের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, পানশালায় আহত হওয়ার পরে জোহেব ট্যাক্সি করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বেনিয়াপুকুরে ফের তাঁর গাড়ি আটকে অভিযুক্তেরা তাঁকে মারধর করে। তদন্তকারীরা জানান, জোহেবের সঙ্গে অভিযুক্তদের ব্যবসায়িক গোলমাল ছিল।
পুলিশের একাংশের ব্যাখ্যা, দোলের আগের রাতে মহিষবাথানে একটি অগ্নিকাণ্ডকে ঘিরে রাতভর পুলিশ ব্যস্ত ছিল। সেই কারণে তুলনায় নজরদারি কিছুটা কম ছিল। যদিও এই যুক্তিতে পুলিশ কর্তাদের সায় নেই বলেই সূত্রের দাবি। তবে শুধু সল্টলেক নয়, বাগুইআটি থেকে নিউ টাউনের পানশালাগুলির উপরে নজরদারি জোরদার হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।