প্রতীকী ছবি।
বিহারের পটনা থেকে কিডনি এবং হৃদ্রোগের চিকিৎসা করাতে দিন কয়েক আগে কলকাতায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন সত্তরোর্ধ্ব রাজকুমার মেহতা। যে দিন এলেন, সে দিন বিকেলেই নাতি-নাতনিদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে ঘটে বিপত্তি। তাঁর ডান পায়ের পেশির অনেকটাই কামড়ে তুলে নেয় পথকুকুরের দল!
কিডনি বা হৃদ্রোগের অসুখের চিকিৎসা না করে বৃদ্ধকে ভর্তি করাতে হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফিরলেও ঠিক ভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না তিনি। কত দিনে নিজের বাড়িতে ফিরতে পারবেন, সেই নিশ্চয়তাও নেই।
শুধু এই ঘটনাই নয়, বেলগাছিয়া মিল্ক কলোনি এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পথকুকুরদের দাপটে দীর্ঘদিন ধরেই ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন তাঁরা। ১৫-২০টি কুকুরের ওই দলের জন্য খাবার সরবরাহকারী অ্যাপ সংস্থার কর্মী থেকে, পোস্ট অফিসের লোক— কেউই এলাকায় ঢুকতে চান না। পুর-প্রশাসনকে বারবার বিষয়টি জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ বার স্থানীয় কাউন্সিলরকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। তাঁদেরই এক জন বলেন, ‘‘রাজকুমারবাবুর ঘটনাটি ঘটার পরে আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে।’’ রাজকুমারবাবুর জামাই ঋষি কুমারের বক্তব্য, ‘‘ওই এলাকার কুকুরের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন অভিযোগ রয়েছে। কেউ সমাধান করেনি। সেই সুযোগে দলে-বলে বাড়ছে পথকুকুরের দল।’’
এলাকাটি কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে বিষয়টি পাঠিয়েছি। পুরসভা নিশ্চয়ই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
অভিযোগ থাকলেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? শান্তনুবাবুর যুক্তি, ‘‘কুকুরের কামড়ে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাঁদের পাশাপাশি ওই এলাকায় কিছু পশুপ্রেমীও রয়েছেন। তা ছাড়া এই সমস্যা সারা রাজ্যের।’’