প্রতীকী ছবি
এক অসুস্থ প্রৌঢ় রিকশায় অচৈতন্য হয়ে পড়ায় তাঁকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক রিকশাচালকের বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, ওই ভাবে দু’ঘণ্টা রাস্তায় পড়ে থাকার পরে মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ের। বৃহস্পতিবার সকালে, চারু মার্কেট থানা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রৌঢ়ের নাম ফেচুলাল দাস (৫৮)। বাড়ি এন্টালি থানা এলাকার মতিঝিলে।
তবে পুলিশের দাবি, ওই প্রৌঢ়কে ফেলে পালানোর মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। কলকাতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ এ রকম কোনও ঘটনার কথা তাঁর নজরে আসেনি বলে জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, ওই প্রৌঢ় রিকশায় ওঠার সময়েই অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছেন, ফেচুলালবাবু ৫৪বি, প্রিন্স বখতিয়ার শাহ রোডের একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করতেন। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। বুধবার রাতে ওই আবাসনে বসবাসকারী এক চিকিৎসকের কাছে যান তিনি। তাঁকে ইসিজি করানোর পরামর্শ দেন ওই চিকিৎসক।
স্থানীয়দের দাবি, সেই মতো এম আর বাঙুর হাসপাতালে ফোন করেন ফেচুলালবাবু। কিন্তু করোনা চিকিৎসার কারণে সেখানে অন্য চিকিৎসা এখন বন্ধ রয়েছে। তাই ওই হাসপাতাল থেকে তাঁকে ইসিজি করাতে এসএসকেএমে যেতে বলা হয়। তার পরেই এসএসকেএমে যাওয়ার জন্য রিকশায় ওঠেন তিনি। কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরেই অজ্ঞান হয়ে যান। অভিযোগ, ভয়ে রিকশাচালক অচৈতন্য ফেচুলালবাবুকে ওই আবাসনের সামনে ফিরিয়ে আনেন এবং সেখানে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যান। চারু মার্কেট থানায় খবর গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই ওই প্রৌঢ়কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
তবে ওই প্রৌঢ়ের রাস্তায় প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে পড়ে থাকার খবরও অস্বীকার করেছে চারু মার্কেট থানা। তাদের দাবি, বখতিয়ার রোডের ওই আবাসনের সামনে থেকে রিকশায় ওঠার সময়েই অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যান ফেচুলালবাবু। তাঁর সঙ্গে এক তরুণীও ছিলেন। ফেচুলালবাবুর হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা ছিল এবং হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই তিনি মারা গিয়েছেন বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশীদের বাধায় ক্যানসার হাসপাতালে গরহাজির ৭০ শতাংশ